(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
তিনটি কাজ তায়াম্মুমের ফরজ।
সর্বপ্রথম তায়াম্মুমের (১) নিয়ত করে নেবে, তার পর (২) উভয় হাত জমিনে উপর মেরে একবার সমস্ত মুখ মণ্ডল মুছে নিবে।
(৩) পুনরায় জমিনে হাত মেরে উভয় হাত কনুই পর্যন্ত মুছবে।
কখন তায়াম্মুম করা জায়েজ আছে?
যদি মুসল্লি পানি ব্যবহারে সক্ষম না হয় কিংবা পানি যদি এক ক্রোশ দূরে থাকে। এক ক্রোশ হলো, চার হাজার কদম।
অথবা (সুস্থ ব্যক্তি) অসুস্থ হয়ে পড়ার বা (রুগ্ন ব্যক্তির) রোগ নিরাময়ে বিলম্ব হওয়ার কিংবা রোগ বেড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে,
অথবা শত্রু, হিংস্র প্রাণীর ভয় বা পিপাসার ভয় থাকে কিংবা বালতি বা রশি পাওয়া না যায়।
এমন ব্যক্তির জন্য অজু এবং গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করা জায়েজ আছে।
কি জিনিস দ্বারা তায়াম্মুম করা জায়েজ? এর জন্য শর্ত কি?
মাটি, বালি, চুনা, লাল পাথর, কালো পাথর ও মর্মর পাথর এবং মাটি জাতীয় সব জিনিসের উপর তায়াম্মুম করা যেতে পারে।
তবে শর্ত হলো, তা পাক হতে হবে।
তায়াম্মুমের রোকন ও শর্ত কয়টি ও কি কি?
তায়াম্মুমের রোকন দুইটি- (১) মাটি বা মাটি জাতীয় জিনিসের উপর দুইবার হাত মারা (২) চেহারা ও উভয় হাত মাসেহ করা।
তায়াম্মুরের শর্ত ছয়টি-
(১) নিয়ত করা (২) মাসেহ করা (৩) মাটি জাতীয় জিনিসের উপর তায়াম্মুম করা (৪) জিনিসটি পাক হওয়া
(৫) পানি না পাওয়া বা পানি ব্যবহারে সক্ষম না হওয়া এবং (৬) তিন বা ততোধিক আঙ্গুল দ্বারা মাসেহ করা।
মুখমণ্ডল বা হস্তদ্বয়ের কোন অংশ যদি মাসেহ করা না হয় তাহলে তার হুকুম কি?
মুখমণ্ডল বা হস্তদ্বয়ের নখ পরিমাণ অংশ যদি মাসেহ করা না হয় তাহলে তায়াম্মুম হবে না।
তাই হাতের আংটি নড়াচড়া করে নিতে হবে আঙ্গুল খেলাল করতে হবে।
তায়াম্মুম কখন করবে? এক তায়াম্মুম দ্বারা একাধিক ফরজ- নফল নামাজ পড়া জায়েজ আছে কি না?
নামাজের সময় শুরু হওয়ার আগে তায়াম্মুম করবে। এক তায়াম্মুম দ্বারা একাধিক ফরজ-নফল নামাজ পড়া জায়েজ আছে।
তায়াম্মুম কখন বাতিল হবে?
পানি ব্যবহারে সক্ষম হয়ে গেলে তায়াম্মুম বাতিল হয়ে যাবে। আর যদি নামাজরত অবস্থায় মুসল্লি পানি ব্যবহারে সক্ষম হয়ে যায়।
তাহলে তায়াম্মুম করে যে নামাজ শুরু করা হয়েছিল তা বাতিল হয়ে যাবে।
মুসল্লির শরীর বা পোশাক যদি নাপাক হয়ে যায় এবং পাক পানি ব্যবহারে সক্ষম না হয় তাহলে তার হুকুম কি?
মুসল্লির শরীর বা পোশাক যদি নাপাক হয় আর সে পানি ব্যবহারে সক্ষম না হয়, তাহলে তার জন্য নাপাকীসহ নামাজ পড়া জায়েজ।
তবে শর্ত হলো, সতর ঢাকার এক টুকরা মত পবিত্র কাপড়ও না থাকা।