“শক্তির তিন রূপ: মূর্খ, শয়তান ও মুমিন”

মানুষের ব্যবহারে তার অন্তরের পরিপক্বতা প্রকাশ পায়। সমাজে কিছু আচরণ এমন আছে, যা মানুষের অবস্থান ও মানসিকতার পরিচয় দেয়। তিনটি শক্তির কথা কুরআন-হাদীস ও বাস্তব জীবনে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়— মূর্খের শক্তি, শয়তানের শক্তি ও মুমিনের শক্তি।

মূর্খের শক্তি হলো গালি।

যেখানে যুক্তির অভাব, সেখানে গালি আসে। যখন কেউ যুক্তিতে হেরে যায়, তখন সে অপমানজনক ভাষা ব্যবহার করে। এটি দুর্বল মানসিকতা ও অজ্ঞতার স্পষ্ট পরিচয়।

শয়তানের শক্তি হলো কুযুক্তি।

শয়তান মানুষকে বিভ্রান্ত করতে কখনো সরাসরি ভুল বলে না, বরং চতুরভাবে কুযুক্তি উপস্থাপন করে। সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য হিসেবে উপস্থাপন করা— এটাই তার ধোঁকাবাজি। অনেকেই শয়তানের এই ফাঁদে পড়ে বিভ্রান্ত হয়।

মুমিনের শক্তি হলো ঈমান।

মুমিন কখনো গালি বা কুযুক্তির আশ্রয় নেয় না। তার আত্মবিশ্বাস, আখলাক এবং চিন্তাচেতনার উৎস— ঈমান। সে সত্যের পথে দৃঢ় থাকে, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ায় এবং সবকিছু আল্লাহর ওপর ভরসা করে পরিচালিত করে।

আসুন, আমরা গালি ও কুযুক্তির পথ পরিহার করে ঈমানের শক্তিতে বলীয়ান হই।

নিজে হেদায়েতের পথে চলি, অপরকেও সত্যের দিকে ডাক দেই।

“আসল শক্তি যুক্তি নয়, গালি নয়— ঈমান!”