কোরআনে কারিমে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা ঘোষনা করেন
ادعوني استجب لكم ان الذين يستكبرون عن عبادتي سيدخلون جهنم داخرين
তোমরা আমাকে ডাকো,আমি সাড়া দিব। যারা আমার ইবাদতে (দোয়া করতে) অহংকার করে তারা অচিরেই লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
সূরা মুমিন আয়াত
এই আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা সকলকেই আহ্বান করেছেন যে, তোমরা আমাকে ডাকো আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব।
তোমরা ডাকতে অপ্রস্তুত;কিন্তু আমি সর্বদা তোমাদের ডাকে সাড়া দিতে প্রস্তুত।
গুনাহ মাফ করতে প্রতি রাতে আল্লাহ আমাদের ডাকতে থাকেন
হাদীসে রাসূল সাঃ বলেন প্রতি রাতের শেষ ভাগে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে এসে বান্দাদের এভাবে ডাকতে থাকেন
الا من مستغفر فأغفر له الا مسترزق فأرزقه الا مبتلي فأعافيه
অর্থ: কে আছো! ক্ষমা চাইবে,আমি থাকে ক্ষমা করে দিব। কে আছো! রিযিক চাইবে,আমি তাকে রিযিক দিব। অসুস্থ কে আছো! আমি তাকে সুস্থতা দান করব।
এভাবে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা সুবহে সাদিক পর্যন্ত বান্দাদের ডাকতে থাকেন। অন্য এক হাদীসে নবী করীম সাঃ এরশাদ করেন
ان الله يبسط يده باليل ليتوب مسيئ النهار و يبسط يده بالنهار ليتوب مسيئ الليل حتي تطلع الشمس من مغربها
নিশ্চয়ই আল্লাহ তার (কুদরতি) হাত সম্প্রসারণ করে রাতের বেলা আর ডাকতে থাকেন তার বান্দাদের এইভাবে যে,
কে আছো আমার নিকট ক্ষমা চাইবে আমি থাকে ক্ষমা করে দিব।
কে আছো আমার নিকট রিযিক চাইবে, আমি তাকে রিযিক দিব।
কে আছো সুস্থতার জন্য আমার কাছে চাইবে আমি তাকে সুস্থ করে দিব।
এই ভাবে দিনে গুনাহ করা বান্দাদের জন্য রাতে হাত প্রসারিত করেন,আর রাতে অন্যায় কারীদের জন্য দিনে হাত প্রসারিত করেন।
অতএব আমাদের জন্য উচিত আল্লাহর ডাকে সাড়া দেওয়া, রাতের 2 ভাগ ঘুমিয়ে তৃতীয় ভাগে মহান রবের কুদরতি ডাকে সাড়া দিতে,
জাগ্রত হয়ে শ্রেষ্ট ইবাদত নামাজে দাড়িয়ে যাওয়া।কেননা যে আল্লাহর নিকট শরীয়ত সম্মত জা চাইবে তিনি টা দিতে প্রস্তুত।
যে তার নিকট চায় না তিনি তার উপর অসন্তুষ্ট হন।
তাইতো বলা হয়…..
যিনি বে হিসাব দান করেন?