মুসলিমবিডি২৪ডটকম
একজন সন্তান আসবে,প্রসূতি মায়ের হাসপাতালে একটা মোটা অংকের টাকা যাবে,তার জীবন মৃত্য অনিশ্চিত(অনিশ্চিত আমাদের সকলেরই)।
এই মুহূর্তেও এই খরচ বহন করবে কে??? শ্বশুরবাড়ির লোক ভাবতে থাকে খরচ দিবে মেয়ের বাবা,
আর বাবার বাড়ির লোকের আর্থিক অনটন থাকলে চিন্তা করে মেয়েকে তো বিয়েই দিয়ে দিয়েছি-এখন সব দায়িত্ব স্বামীর।
তবু হাতড়ে হুতড়ে কিছু টাকা দিতেই হয়।
সিজারের খরচ দিবে মেয়ের বাপে, এই চিন্তা চেতনা লালন করা অনেক ছ্যাচড়া মানুষ আমি আমার আশেপাশে দেখেছি।
কি আশ্চর্য!! আবার কখনো কখনো দেখতে পাই দুপক্ষ ভাগাভাগি করে দিচ্ছে। তার পরও মেয়েটারে কথা শোনানো, খোটা দেয়া কথাবার্তা আরো কত কি….
একজন মেয়ের বিয়ের আগে অভিভাবক থাকে তার বাবা,তখন সমস্ত খরচ বাবাই বহন করবে।
কম পারুক বা বেশি একজন পিতা সবসময়ই চেষ্টা করে তার সন্তানকে ভালো রাখতে।
এরপর মেয়েটার বিয়ে হয় এবং শরীয়াহ অনুযায়ী সমস্ত দায়িত্ব গিয়ে পড়বে স্বামীর উপর। স্বামী বাধ্য তার স্ত্রীর সমস্ত খরচ বহন করতে।
সিজার হোক বা নরমাল,যা কিছুর জন্যই হোক না কেন স্বামীর উপর তা খরচ করা ফরজ-মেয়ের বাবা দায়বদ্ধ না।
স্বামীর বংশধর দুনিয়ায় আসবে, স্ত্রী দীর্ঘদিনের কষ্ট নিয়ে অপেক্ষা করবে।
আর সেই সুন্দর সময়টাতেও যদি টাকা পয়সা নিয়ে এমন ছ্যাচড়ামি শুরু হয় তাহলে ক্যামনে হবে!!
টাকা পয়সা যদি একেবারেই না থাকে তাহলে প্রসঙ্গ ভিন্ন, দেখা যায় সুস্থতার জন্য কাছের মানুষেরা সবাই মিলে শরীক হলো।
কিন্তু আমি যতগুলো মানুষ বা পরিবারের বিষয়ে জানি সবার ক্ষেত্রেই এমন যে তাদের যথেষ্ট অর্থ আছে,সামর্থ্যবান তবু আশা রাখে মেয়ের বাবা খরচগুলো দিবে।
আবার খুব নিয়ম করে কেউ কেউ ডেলিভারির আগেই বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয় যেন খরচটা বেঁচে যায়।
আর না দিলে শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের কোনো দাম নেই,কথা শুনতে শুনতে সদ্য মা হওয়া মানুষটার চোখে পানি ভীড় করে।
আসলে আমাদের চোখেমুখে লজ্জা নেই- নির্লজ্জতা আমাদেরকে একদম গ্রাস করে নিয়েছে,আফসোস… আজ মানুষের মনুষত্য কোথায়??
আরো পড়ুনঃ
স্বামী যদি পরনারীর প্রতি আকৃষ্ট হয় তাহলে তার স্ত্রীর প্রতি পরপুরুষ আকৃষ্ট হবে, স্বামী ভালো না বা শ্বশুর বাড়ির লোকজনের আচরণ খারাপ;তখন কি করণীয়,