মুসলিমবিডি২৪ডটকম
“স্বামী ভালো না,শ্বশুরবাড়ির লোকজনের থেকে প্রতিনিয়ত খারাপ আচরন সহ্য করতে হয়,
নিজের কোনো উপার্জন নেই,বাবার বাড়ি থেকে যে আর্থিক এবং মানসিকভাবে সহযোগিতা করবে সেই অপশনও নেই”-
এমন অবস্থায় একটি মেয়ের জন্য সবর এবং দুআ করা ব্যতীত অন্য কোনো সমাধান আমার জানা নেই।
যদি শ্বশুরবাড়তে কোনো সদস্যের সাথে বোঝাপড়ায় ঘাটতি থাকে,মন খারাপ হয়,মনমালিন্য লেগেই থাকে,
কটূ কথা শুনতে হয় তবে স্বামীর সাপোর্ট খুব জরুরী হয় সেখানে।
আবার বাবার বাড়ির সাথেও যদি বিয়ের পর ঠিকঠাক বনিবনা না হয়,মা বোন বা ভাইদের সাথে নিজের মত মিলছেনা,
আত্মীয়তা টিকিয়ে রাখতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে,সেখানেও একমাত্র স্বামীর আচরন-ভালোবাসা-সহযোগিতাই পারে সেই দুঃখ ভুলিয়ে দিতে।
যখন সেই সবচে নির্ভরশীল হওয়া মানুষটাই পক্ষে থাকেনা তখন অন্তত বাবা মায়ের ভূমিকা জীবনে খুব প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
একটা মেয়ের নিরাপদ আশ্রয়,ভরসার জায়গাই তো হয়ে উঠবে তারা!!
কিন্তু এমন হয়না, কখনো কখনো আমরা বাস্তবতার কাছে খুব বেশি অসহায় হয়ে পড়ি।
দেখা যায় বাবা মা বৃদ্ধ,ভাইদের উপরই তারা নির্ভরশীল,বা হতে পারে বাবা মায়ের যথেষ্ট আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই,
তখন তারা আর কি-ই বা করতে পারবে। মেয়ে জামাই পরিবারে নাক গলানোর মতো সামর্থ্য তাদের থাকেনা।তখন না চাইতেও বলে দেয় মানিয়ে নাও।
আমার আসলে জানা নেই এমন প্রশ্নের উত্তরে কি পরামর্শ দিবঃ-
“স্বামী হক আদায় করেনা,শ্বশুরবাড়ির অপমান,বাবা নেই বা বাবার বাড়ির সাপোর্ট নেই,
নিজেরও কোনো সন্তানদের নিয়ে এখন আমার কি করা উচিত!”- উত্তর না দিতে পেরে ভীষন কষ্ট পাই।
মানুষ অসহায় হয়েই তো অন্যের কাছে পরামর্শ চায়,ইনিয়ে বিনিয়ে সান্ত্বনামূলক দুচারটা কথা শোনানোও হয়ত সহজ।
কিন্তু এই সমাজে একা চলা খুব কঠিন,কখনো কখনো তো অসম্ভবই বটে!আশেপাশে বা নিজের দিকে তাকালে দেখা যায় জীবন কি ভীষণ কঠিন।
যদিও ক্ষণিকের দুনিয়া,তবু যেন কষ্টে ভেতরটা কখনো কখনো শেষ হয়ে যায়-মনে হয় এ জীবন বুঝি আর শেষ হবার না।
রব উত্তম বদলা দিন,সবরের প্রতিদান দিন,দুঃখভরা জীবন নিয়ে বেঁচে থাকা মানুষগুলোকে সুখী করে দিন-খুব সুখী!! আমীন ইয়া রাব্বী🤲
আরো পড়ুনঃ👇
কেমন নারী বিয়ে করবেন,বিবাহের সময় মেয়ে দ্বীনদার কিনা বুঝার সহজ উপায়,
নারীরা কোন ধরনের পুরুষ কে বেশি পছন্দ করে,স্বামী গরীব হলে সাহাবী যুগে নারীরা যা করতেন