(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
ঈমানের পর সবচেয়ে বড় ফরয ইবাদত হল নামাজ,আল্লাহ তায়ালার কাছে নামাজ এত পছন্দনীয় যে,
নামাজের হালতে অনেক ফেরেশতা কে কিয়ামত পর্যন্ত নিয়োজিত রেখেছেন।
বর্ণিত আছে একদল ফেরেশতা কিয়ামত পর্যন্ত দাড়ানো অবস্থায়,একদল রুকু অবস্থায়,একদল সিজদাহ অবস্থায় রয়েছেন।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ..
আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় হল, নামাজের জন্য মসজিদে গমন করার পর জামাতের জন্য অপেক্ষা করার ফযীলত কি?
এক হাদীসে বর্ণিত আছে রাসূল সাঃ বলেন (ভাবার্থ) আমি কি তোমাদেরকে জানাবো কিসের মাধ্যমে আল্লাহ পাপ মুছে দেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করেন:
সাহাবা আজমাঈন বললেন অবশ্যই ইয়া রাসুুলাল্লাহ, তিনি বললেন কঠিন সময়ে ভালোভাবে ওযু করা,
মসজিদে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং নামাজের পরে নামাজের জন্য অপেক্ষা করা।
হাদীসটি নিম্নরূপ
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (ألا أدلكم على ما يمحو الله به الخطايا ويرفع به الدرجات؟
قالوا: بلى يا رسول الله! قال: إسباغ الوضوء على المكاره، وكثرة الخطا إلى المساجد، وانتظار الصلاة بعدالصلاة
প্রিয় পাঠকবৃন্দ!
আমরা রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই হাদিস শরীফ দ্বারা জানতে পারলাম,
তিনটি কাজ করার দ্বারা আল্লাহপাক রব্বুল আলামীন আমাদের গুনাহ সমূহ মুছে দিবেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন।
তিনটি আমল নিম্ন বর্ণিত
- কঠিন সময়ে ভালোভাবে অজু করা
- বেশি বেশি মসজিদে যাওয়া
- মসজিদে গিয়ে জামাতের জন্য অপেক্ষা করা
আমাদের অনেক নামাজী ভাইদের কে লক্ষ্য করা যায় মসজিদে গিয়ে নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন।
এটা আমাদের হানাফী মাযহাবের ফিকাহাবিদদের মতে খেলাফে সুন্নাহ তথা সুন্নাহ পরিপন্থী।
মসজিদে গিয়ে কাতারের মধ্যে বসে নামাজের জন্য অপেক্ষা করাই সুন্নাহ পদ্ধতি।
আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আমাদেরকে সুন্নাহ তরিকায় প্রতিটি আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।