Muslimbd24.com
একজন মুসলমানের সাথে অন্য মুসলমানের দেখা হলে সালাম আদান-প্রদান করা অর্থাৎ
‘আসসালামুয়ালাইকুম’ বলা ও উত্তর প্রদান করা ইসলামী সুন্নাত/রীতি।
রাসূলুল্লাহ (সা:)এর দরবারে তাঁর ২৩ বছরের নব্যুয়াতি জিন্দেগীতে
তাঁর লক্ষাধিক সাহাবীর কেউ কেউ দু একবার এসেছেন,
কেউ কেউ হাজার বার এসেছেন,এ সকল ক্ষেত্রে তাদের সুন্নত ছিল সালাম প্রদান করা।
কখনো কখনো দেখা হলে তারা সালামের পরে হাত মিলিয়েছেন, বা মুসাফা করেছেন।
আরেকজনের হাতে বা কপালে চুমু খেয়েছেন, অথবা কোলাকুলি করেছেন।
জয়িফ বা অনির্ভরযোগ্য কয়েকটি ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনায় দেখা যায়
কেউ কেউ রাসূলুল্লাহ (সা:) এর পায়ে চুমু খেয়েছেন।
রাসূলুল্লাহ’র ২৩ বছরের নব্যুয়াতি জিন্দেগিতে লক্ষ লক্ষ মানুষের অগণিত বার আগমনের ঘটনার মধ্যে
এই কদমবুসী’র ঘটনা মাত্র চার / পাঁচটি বর্ণিত হয়েছে।
তথাপিও সেই বর্ণনাগুলি প্রায় সবই জয়ীফ বা দুর্বল ও অনির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণিত।
এ সকল ঘটনায় কোন সুপরিচিত সাহাবী তার পদচুম্বন করেননি,
যারা করেছেন তারা হয়তো নতুন ইসলাম গ্রহণ করতে আসা কিছু বেদুইন, অথবা ইহুদী।
যারা দরবারে নববীতে আগে কখনো থাকেনি অথবা দরবারের আদব ও সুন্নত জানতো না।
আবু বকর, ওমর,ওসমান, আলি, ফাতেমা রাজিয়াল্লাহু আনহুম এবং তাঁদের মত অগণিত প্রথম সারির সাহাবী
তাদের প্রত্যেকেই 23 বছরে কমপক্ষে ১০ হাজার বার তাঁর দরবারে প্রবেশ করেছেন
কিন্তু কেউ কখনো একবারও তার কদম মোবারকে চুমু খান নি, বা সেখানে হাত রেখে সেই হাতেও চুমু খান নি।
কাজেই উপরোক্ত তিন-চারটি ব্যতিক্রম ঘটনার আলোকে বড়জোর পায়ে চুমু খাওয়া ‘জায়েজ’ হতে পারে,
আমরা বলতে পারি,বিশেষ ক্ষেত্রে আবেগের ফলে, বা ক্ষমা চাওয়ার জন্য
যদি কেউ কারো পা জড়িয়ে ধরে বা পায়ে চুমু খায় তা নাজায়েজ হবে না।
কিন্তু এই লক্ষ লক্ষ ঘটনার মধ্যে ব্যতিক্রম তিন চারটি ঘটনাকে যদি আমরা সুন্নত মনে করি,
তাহলে নিঃসন্দেহে তা মূল সুন্নাতকে নষ্ট করবে, যা আমাদের সমাজে অহরহ ঘটছে,
অনেককে ই মুখে সালাম দেওয়ার চেয়ে কদমবুছি’র গুরুত্ব বেশি প্রদান করতে দেখা গেছে,
অনেকে আবার কদমবুছি কে সালাম করা বলে থাকে, অনেকে আবার মুখে সালাম করেই না শুধু কদমবুচি করে।
সারাংশ: “এই দীর্ঘ আলোচনা থেকে বুঝা গেল কদমবুসী “সুন্নত”নয় বরং ক্ষেত্রবিশেষে ‘জায়েজ’ বলা যেতে পারে ।