(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
ঈদের নামাজ
ঈদ অর্থ খুশি এবং আনন্দ। পবিত্র রমজান মাসের রোজা, ইফতারি,তারাবীহ এবং সকল এবাদতের মাধ্যমে সিয়াম সাধনা করার পর
শাওয়ালের চাঁদের প্রথম তারিখে এক ঈদ। ইহাকে ঈদুল ফিতর বলে।অর্থাৎ রোজার ঈদ। এবং জিলহজ মাসের চাঁদের দশ তারিখে এক ঈদ।
ইহাকে ঈদুল আযহা বলে। অর্থাৎ কুরবানীর ঈদ।জুমুআর নামাজের মত উভয় ঈদের নামাজে দুইটি করিয়া খুতবা পড়িতে হয়।
পার্থক্য শুধু এই যে,জুমুআর নামাজের খুতবা নামাজের পূর্বে পড়িতে হয়এবং উহা ফরজ।
আর ঈদের নামাজের খুতবা নামাজ আদায়ের পর পড়িতে হয় এবং উহা সুন্নত।অবশ্য উভয় নামাজের খুতবাই শ্রবণ করা ওয়াজিব।
ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ত
(যারা আরবী নিয়ত পারেন না) আমি ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবীরের সহিত (মুক্তাদি হইলে) এই ইমামের পিছনে আদায় করতেছি কেবলার দিকে মুখ করে।
ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ত
আমি ঈদুল আযহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবীরের সহিত এই ইমামের পিছনে আদায় করিতেছি
ঈদের নামাজের নিয়ম
প্রথম রাকাতে তাকবীরে তাহরীমার পর ছানা পাঠ করিয়া তিন তাকবীর বলিতে হয়।
প্রথম তাকবীরের সময় উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠাইয়া আল্লাহু আকবার বলিয়া হাত ছাড়িয়ে দিবে। দ্বিতীয় তাকবীরের সময় ও অনুরূপ করিবে।
তৃতীয় তাকবীরের সময় হাত উঠাইয়া আল্লাহু আকবার বলিয়া হাত বাঁধিয়া লইবে। প্রথম রাকাতের যাবতীয় কার্যাদি শেষ করিয়া
দ্বিতীয় রাকাতে দাঁড়াইয়া কেরাত শেষ করার পর রুকুর পূর্বে তিন তাকবীর বলিতে হয়। এই সময় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তাকবীরে উভয় হাত উঠাইয়া ছাড়িয়া দিতে হইবে।
অতঃপর আল্লাহু আকবার বলিয়া রুকুতে চলিয়া যাইবে। দ্বিতীয় রাকাত শেষ হওয়ার পর (সালাম ফিরাইবার পর) ইমাম সাহেব মিম্বরে উঠিয়া খুতবা পাঠ করিবেন ।
খুতবা শোনা ওয়াজিব। খুতবা শেষ হইলে ঈদগাহ হইতে বিদায় নিবে। খুতবা পড়াকালীন কথা বলা, হাঁটাচলা বা ঘোরাফেরা করা জায়েজ নয়। কোন ঈদেই আজান বা একামত নাই।
তাকবীরে তাশরীক
বি দ্র: ঈদুল আযহার সময় উচ্চ আওয়াজে তাকবীরে তাশরিক বলিতে বলিতে ঈদগাহের দিকে আসিবে।
কিন্তু ঈদুল ফিতরের সময় তাকবিরে তাশরিক মনে মনে পড়িতে হইবে। ইহা সুন্নত।