(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
প্রশ্ন:
ডাক্তার হিসেবে রুগি দেখার শেষে আর শুরু তে কি দুয়া পরব? অপারেশন এর শুরু তে কি দুয়া করব? দুয়া গুলো লিখে দিলে উপকৃত হতাম।
উত্তর:
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদিসে এসেছে, অসুস্থ্য ব্যক্তিকে দেখতে গেলে তার জন্য আল্লাহর দরবারে কিভাবে দোয়া করতে হবে।
তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো। আপনার কাছে কোনো রোগী আসলে কিংবা আপনি রোগীর কাছে গেলে এই দুয়াগুলো করতে পারেন।
০১. হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
যে ব্যক্তি এমন কোনো রুগ্ন মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, যার এখনো মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়নি এবং তার নিকট সাতবার এই দোয়াটি বলবে-
أَسْأَلُ اللهَ العَظيمَ، رَبَّ العَرْشِ العَظِيمِ، أَنْ يَشْفِيَكَ
উচ্চারণ : আসআলুল্লাহাল আজিমা, রাব্বাল আরশিল আজিমি, আঁইয়্যাশফিয়াক'
অর্থাৎ `আমি সুমহান আল্লাহ, মহা আরশের প্রভুর নিকট তোমার আরোগ্য (সুস্থতা) প্রার্থনা করছি`
আল্লাহ তাকে সে রোগ থেকে মুক্তি দান করবেন।' (মুসনাদে আহমাদ, তিরমজি, আবু দাউদ)
০২. হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন বেদুঈনকে দেখতে গেলেন।
আর তাঁর নিয়ম এই ছিল যে, যখন তিনি কোনো রোগীকে দেখতে যেতেন তখন বলতেন-
لَا بَأْسَ طُهُوْرٌ اِنْشَاءَ اللهُ
উচ্চারণ : লা- বা'সা তুহু-রুন ইনশাআল্লাহ।
অর্থ : ‘ভয় নেই, আল্লাহর মেহেরবানীতে আরোগ্য লাভ করবে ইনশাআল্লাহ (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)
০৩. হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ যখন অসুস্থ হতো তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তাঁর ডান হাত রোগীর শরীরে বুলাতেন এবং বলতেন-
اَذْهَبِ الْبَأْسَ رَبَّ النَّاسِ – وَاشْفِ اَنْتَ الشَّافِي – لَا شِفَاءَ اِلَّا شِفَائُكَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقْمًا
উচ্চারণ : আজহাবিল বা'সা রব্বান না-সি, ওয়াশফি আনতাশ শা-ফি-, লা শিফাআ' ইল্লা- শিফা-উকা শিফা-আ' লা ইউগাদিরু সুক্বমা।
অর্থ : ‘হে মানুষের প্রতিপালক! এ রোগ দূর কর এবং আরোগ্য দান কর, তুমিই আরোগ্য দানকারী।
তোমার আরোগ্য ব্যতিত কোনো আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্য, যা বাকী রাখে না কোনো রোগ।' (বুখারি, মিশকাত)
এছাড়া অপারেশনের পূর্বে আপনি অজু করে নিতে পারেন। যদি সময় থাকে দুই রাকাত সালাতুল হাজত পড়ে সংক্ষেপে অপারেশন সাকসেসের দোয়া করতে পারেন।
তারপর ওটিতে প্রবেশ করে প্রথমে আউজুবিল্লাহ , বিসমিল্লাহ বলে
একবার সুরা ফাতেহা তিনবার সুরা ইখলাস এবং কয়েক বার দুরুদ শরীফ পড়ে কাজ শুরু করতে পারেন।
আমার জানামতে ওই সময় উচ্চ আওয়াজে কথাবার্তা বলা যায় না। তাই মনে মনে
لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِالله (আল্লাহ ব্যতীত অনিষ্ট দূর করার এবং কল্যাণ লাভের কোন শক্তি কারো নেই।)
তাসবিহটি পড়তে পারেন। আল্লাহ তায়ালাই উত্তম তাওফিকদাতা।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
মুসলিমবিডির আরো উপকারী প্রবন্ধ পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন 👇
👉এক মহিলার ডিম্বাণু অন্য মহিলার জরায়ুতে মেশিনের সাহায্যে প্রবেশ করানো কি শরিয়ত সম্মত