বিয়েতে কুফু ইসলামী দৃষ্টিতে সামঞ্জস্যের অপরিহার্যতা

বিয়েতে কুফু — ইসলামী দৃষ্টিতে সামঞ্জস্যের অপরিহার্যতা.

বিয়ে ইসলামের একটি মহান সুন্নত এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার মূলভিত্তি।

কিন্তু এই সম্পর্কের স্থায়িত্ব ও শান্তির জন্য ইসলামে “কুফু” (সামঞ্জস্য বা উপযুক্ততা) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 কুফুর পারিভাষিক অর্থ:

কুফু বলতে বোঝায়—দুই পক্ষের মধ্যে ধর্ম, চরিত্র, নৈতিকতা, সমাজিক মর্যাদা, শিক্ষা ও পারিবারিক মূল্যবোধে উপযুক্ত মিল থাকা।

 কুরআনের দৃষ্টিতে: আল্লাহ তাআলা বলেন—

“তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত, তাদের বিবাহ সম্পাদন কর; এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্য থেকে যারা সৎ, তাদেরও।

তারা দরিদ্র হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের সচ্ছল করবেন।” (সূরা আন-নূর: ৩২)

এই আয়াতে ‘সৎ’ বা ‘সালেহীন’ শব্দ দ্বারা বোঝানো হয়েছে, নৈতিক ও ধর্মীয়ভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ সঙ্গী নির্বাচন করা।

 হাদীসের আলোকে: রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন—

“নারীকে চার কারণে বিবাহ করা হয়—সম্পদ, বংশ, সৌন্দর্য ও ধর্মীয়তা; সুতরাং তুমি ধর্মীয় নারীকে বেছে নাও, তুমি সফল হবে।”

(বুখারী ও মুসলিম)

এখান থেকে বোঝা যায়, ধর্মীয় ও চরিত্রগত কুফু থাকলেই দাম্পত্য জীবনে প্রকৃত সুখ ও বরকত আসে।

 উপসংহার:

বিয়েতে কুফু শুধু সামাজিক নিয়ম নয়; এটি ইসলামের প্রজ্ঞাময় দিকনির্দেশনা। কুফু না মানলে বিয়ের পর অনাকাঙ্ক্ষিত মানসিক, পারিবারিক ও ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে।

অতএব, বিয়েতে সৌন্দর্য বা সম্পদের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে ধর্ম, চরিত্র ও মানসিক সামঞ্জস্যক!