(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)

সম্প্রতি ১ মিনিটে ব্যাথাহিন মৃত্যুযন্ত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। আর সুইজাল্যান্ড তার অনুমোদনও দিয়েছে! যন্ত্রটি
কফিনের মতো দেখতে। এটিতে ঢুুকলে ১ মিনিটেরও কম সময়ে ব্যাথা-বেদনা ছাড়া মৃত্যু হবে। যন্ত্রের নাম দেওয়া
হয়েছে ‘সারকো’। এটি তৈরি করেছে সেচ্ছাসেবক সংগঠন “এগজিট ইন্টারন্যাশনাল”। এখন প্রশ্ন হলো, এই
মিশিনের মাধ্যমে মৃত্যু বরণ করা বা আত্মহত্যা করা কতটুকু শরিয়ত সম্মত? আজকের লিখনি থেকে আমরা তার
বিস্তারিত জানবো। আসলে আমাদের দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই শুধু নয়; বরং আমাদের গোটা দেহ, আমাদের পূর্ণ
জীবন আল্লাহ প্রদত্ত আমানত। অনেকে মনে করে শরির আমাদের নিজস্ব। বিধায় তার সাথে যেমনতেমন আচরণ
করা যাবে। ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। বরং এই শরির আল্লাহ প্রদত্ত একটি আমানত। একারণেই আত্মহত্যা ইসলামী
শরীয়তের দৃষ্টিতে জঘন্যতম হারাম। শরীর যদি আমাদের নিজস্বই হতো তাহলে আত্মহত্যা হারাম হবে কেন?
হারাম হওয়ার কারণ এটাই যে, আমাদের প্রাণ,শরীর, অস্তিত্ব, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসহ সবই আমাদের মালিকানাধিন নয়।
সব কিছুর মালিক আল্লাহ তাআলা। যেমন ধরুন আমার হাতে একটি বই আছে এবং এই বইটির মালিক আমি।
এখন যদি আমি এটি কাউকে দিয়ে দেই তাহলে তা আমার জন্য জায়েয হবে। পক্ষান্তরে কেউ যদি বলে, তুমি
আমাকে মেরে ফেলো, আমার জীবন শেষ করে দাও।স্ট্যাম্প পেপারে লিখে দস্তখত করে, সীল মেরে দিলো যে, তুমি
আমাকে মিশিনের ভিতরে ঢুকিয়ে হত্যা করে দাও। এতো কিছু করার পরও তোমার জন্য তাকে হত্যা করা জায়েয
হবে না। কারণ, সে নিজেই তো এ জীবনের মালিক না। জীবন যদি কারো মালিকানাধীন হতো, তাহলে মেরে
ফেলার অনুমতি দান সঠিক হতো। সুতরাং অন্যকে এ জীবন শেষ করে দেওয়ার কোনো অধিকার তার হাতে
নেই। অতএব এরকম মিশিনের মাধ্যমে আত্মহত্যা করা বা কাউকে মিশিনে ঢুকিয়ে টাকার বিনিময়ে মেরে ফেলা
কোনো অবস্থাতেই জায়িয হবে না। আল্লাহ আমাদের বুঝার তাওফিক দান করুন। আমিন।।
আরও পড়ুন:-
আত্মহত্যাকারীর জানাযার নামাজ ও তার পরিণাম
গর্ভবতী মহিলা মারা গেলে তার গর্ভের সন্তানের হুকুম
এক মহিলার ডিম্বাণু অন্য মহিলার জরায়ুতে মেশিনের সাহায্যে প্রবেশ করানো কি শরিয়ত সম্মত
MuslimBD24.Com Islamic blog site Bangladesh

