
হাযিরাত অর্থ হলো – রোগ নির্ণয়, বা রোগ পরিক্ষা ৷
এটা মোদাব্বীর/ রাকী/কবিরাজ জগতে বলতে গেলে মূল ভিত গুলোর একটি ৷
যে হাজিরাতে যত বেশি পারদর্শি বা অভিজ্ঞ,তার চাকিৎসাও তত বেশি ফলদায়ক ৷
এই জন্য একজন আদর্শবান মোদাব্বীরের উচিত কষ্ট করে হলেও নির্ভুল হাজিরা দেখার বেপারে মেহনত করা ৷
তো আজ যে হাজিরাতের বেপারে আমরা আলোচনা করবো,সেটা হয়তো এখানে অনেকে জানে ৷
আমার জানানো টা হলো শুধুমাত্র তাদের জন্যই,যাদের জানা নাই (!)
যখন কোনো রুগি আমাদের কাছে আসে,আমরা তাকে সামনে বসিয়ে প্রথমে একটা গ্লাসে কিছু পানি নিবো,
এবং তা থেকে রুগি কে কিছু পানি খেতে বলে জিজ্ঞেস করে নিব– পানির স্বাধ কেমন? স্বাভাবিক আছে কিনা?
রুগি যদি তখন বলে স্বাভাবিক আছে ৷ এরপর ঐ পানিতে ৩ বার ইসতেগফার পড়ে ৩টি দম দিবে৷
এরপর দরুদে ইবরাহীম ৩বার পাঠ করে ৩টি দম দিবে ৷
এরপর সুরা ফাতিহা, বিসমিল্লাহ এর সাথে মিলায়ে ৭ বার পাঠ করে পানিতে ৭টা দম দিবে ৷ এরপর আবার ঐপানি রুগি কে খেতে দিবেন..
পানি খাওয়ার সাথে সাথে রুগি যদি বলে পানি দুর্গন্ধ,তাহলে তাকে যাদু করা হয়েছে কুফুরির মাধ্যমে ৷
আর যদি পানি খাওয়ার সাথে সাথে কিছু না বলে,তাহলে তাকে চুপচাপ ৫ থেকে ১০ মিনিট বসে থাকতে বলবেন ৷
আর তাকে বলবেন,তার শরিরের দিকে খেয়াল করতে,
পানিটা খাওয়ার পরে তার শরিরে মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসতেছে কিনা ?
যদি তার জিন্নাতের আছর থাকে,তাহলে তার শরির জ্বলতে বা পুড়তে থাকবে,গরম লাগবে ৷
আর যদি তাকে যাদু করা হয়ে থাকে,তাহলে তার শরির,মাথা ভারি হয়ে আসবে ইনশাআল্লাহ ,,রুগি স্পষ্টভাবে অনুভব করতে পারবে ৷
এই হাজিরা দ্বারা মোদাব্বীরদের জন্য একটু বেশি ফায়দা হলো– তারা রুগি কে তার রোগ সম্পর্কে বুঝায়ে দিতে পারে,যে সে আসলেই জিন্নাত বা যাদুর রুগি কিনা ।