বিয়ের জন্য মেয়ে নির্বাচন
বিয়ে শুধু সামাজিক বা শারীরিক সম্পর্ক নয়, বরং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ দায়িত্বপূর্ণ জীবনযাত্রার সূচনা। একজন সৎ, দীনদার ও সহানুভূতিশীল জীবনসঙ্গিনী জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শান্তি ও সুখের উৎস হতে পারে। তাই কনে নির্বাচন করার সময় আবেগ নয়, বিবেচনা ও প্রজ্ঞার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।
১. ধর্মপরায়ণতা
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন: *“নারীদেরকে চারটি কারণে বিবাহ করা হয়—তাদের ধন-সম্পদের জন্য, বংশ-মর্যাদার জন্য, সৌন্দর্যের জন্য এবং দ্বীনের কারণে। তুমি সেই মেয়েকে গ্রহণ করো যে দ্বীনদার—তাহলে সফল হবে।”* (বুখারী, মুসলিম)
২. চরিত্র ও আখলাক
একজন মেয়ের নরম স্বভাব, শালীনতা ও সততা সংসারে শান্তি বয়ে আনে।
৩. পরিবার ও পরিবেশ
ভালো পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা মেয়েরা সাধারণত দায়িত্বশীল ও মূল্যবোধসম্পন্ন হন।
৪. সহনশীলতা ও মানিয়ে চলার ক্ষমতা:
বিবাহিত জীবনে মতবিরোধ স্বাভাবিক, তাই ধৈর্যশীল জীবনসঙ্গিনী জীবনে ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়ক।
৫. শিক্ষা ও বুদ্ধিমত্তা
শিক্ষিত ও চিন্তাশীল স্ত্রী সংসারে উন্নতির পথ তৈরি করে।
৬. রূপ ও স্বাস্থ্য
ইসলামে সৌন্দর্য অপছন্দ নয়; তবে দীনদারিতা থাকাটাই মূল বিবেচ্য হওয়া উচিত।
৭. পরিপূর্ণতা চাওয়া নয়, পরস্পরের পূর্ণতা হওয়া:
কেউই নিখুঁত নয়। তাই বিয়েতে পরস্পরের দোষ-গুণকে গ্রহণ করে সহানুভূতির সঙ্গে জীবন গড়াই প্রকৃত সাফল্য।
ইস্তিখারা ও পরামর্শ:
বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ইস্তিখারা করে আল্লাহর কাছে কল্যাণ চাওয়া এবং অভিজ্ঞ, দ্বীনদার অভিভাবকের পরামর্শ গ্রহণ করাও অত্যন্ত জরুরি।
শেষ কথা
ভালোবাসা তখনই টিকে থাকে, যখন তা হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। সুতরাং কনে নির্বাচনেও তাকওয়া ও বিচক্ষণতা আবশ্যক।