শিরক কত প্রকার ও কি কি
২য়-পর্ব
আল্লাহ তাআলা খ্রিস্টানদের ব্যাপারে বলেছেন:-
তারা আল্লাহ ব্যতিরেকে তাদের পণ্ডিত ও সংসার- বিরাগীদেরকে রবরূপে গ্রহণ করেছে এবং মরিয়মের পুত্র মাসীহকেও।
অথচ তাদেরকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল শুধু মাত্র এক ইলাহর ইবাদতের জন্য, যিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই ,
তারা যে শরীক সাব্যস্ত করে তা থেকে তিনি পবিত্র ।(সূরা তাওবাহ-৩১)
উপরোক্ত আয়াতটি থেকে স্বাভাবিকভাবে একটি জিনিস বুঝে আসে না??
যে কিভাবে:-“তারা আল্লাহ ব্যতিরেকে তাদের পন্ডিত ও সংসার- বিরাগীদেরকে রবরূপে গ্রহণ করেছে।”
অথচ তারা তাদেরকে রব বলে বিশ্বাস বা স্বীকার করত না ও তাদের ইবাদত করত না। বরং তারা আল্লাহকে রব বলে স্বীকার করত ও তাঁরই ইবাদত করত।
হাদিস শরীফের এই বিষয়ের স্পষ্ট ব্যাখ্যা এসেছে ।
হাদীস শরীফে এসেছে ইমাম বুখারী (রহ.) বর্ণনা করেন:-
‘আদি ইবনে হাতেম রা. থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন: আমি গলায় একটি ক্রুশ ঝুলন্ত অবস্থায়রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লামের নিকট এলে তিনি বললেন,
হে আদি! এই মূর্তিটি তুমি তোমার গলা থেকে ছুঁড়ে ফেল। ফলে আমিতা খুলে ফেললাম, অতঃপর রাসূলুল্লাহ সা. এর নিকটে এসে দেখতে পেলাম,
তিনি সূরা তাওবাহ তিলাওয়াত করছেন: “তারা আল্লাহ ব্যতিরেকে তাদের পন্ডিত ও সংসার বিরাগীদেরকে রব রূপে গ্রহণ করেছে”আমি বললাম, আমরা তো তাদের ইবাদাত করতাম না।
রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন আল্লাহ তায়ালা যা হালাল করেছেন তারা তা হারাম করতো আর তোমরাও তা হারাম মানতে এবং আল্লাহ তাআলা যা হারাম করেছেন তারা তা হালাল করতো আর তোমরাও তাকে হালাল ভাবতে? আমি বললাম, হ্যাঁ এমনটিই হত।কিন্তু বললেন এটি তাদের ইবাদাত।
[তারিকুল কাবীর ইমাম বুখারী সপ্তম খন্ড-হাদিস নম্বর: ৪৭১ ,, সুনানে তিরমিজি: ৩০৯৫,, মু’জামুল কাবীর লিত তাবারানী:১৭/৯২/২১৮/২১৯,, সুনালুল কুবরা লিল বায়হাকী: ২০৩৫০, সনদ:হাসান সহিহ]
সূরা আহযাবে ইরশাদ হচ্ছে,
যেদিন অগ্নিতি তাদের মুখমণ্ডল ওলট-পালট করা হবে; সেদিন তারা বলবে, হায় আমরা যদি আল্লাহর আনুগত্য করতাম ও রাসূলের আনুগত্য করতাম!
তারা আরো বলবে এ আমাদের পালনকর্তা, আমরা আমাদের নেতা ও বড়দের কথা মেনেছিলাম, অতঃপর তারা আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিল। হে আমাদের পালনকর্তা তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দিন এবং তাদেরকে মহা অভিসম্পাত করুন।( সূরা আহযাব-৬৬–৬৮)
প্রিয় পাঠক /পাঠিকা! নিজেকে নিয়ে ভেবে দেখুন।
উপরিউক্ত আয়াতগুলো আপনার উপর প্রযোজ্য হয়ে যাচ্ছে না তো? শরীয়তের কোন হুকুম স্পষ্টভাবে জানা ও বুঝার পরেও শুধু শায়েখ, ওস্তাদ ,পীর বা শাসকের মান্যতার বাহানা দিয়ে ,, আল্লাহ তায়ালার হুকুম এড়িয়ে যাচ্ছেন না তো ?? (নাউজুবিল্লাহ) ।
জেনে রাখুন ,আল্লাহ তাআলার অবাধ্যতায় কোন মাখলুকের কথা মান্য করা হারাম।।
(لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق)
প্রিয় পাঠক/ পাঠিকা আপনাদের সুবিধার্থে লেখাগুলো “সিরিজ আকারে” সংকলন করা হয়েছে।
প্রথম পর্ব পড়তে ক্লিক করুন শিরক প্রকার ও কি কি 👈১ম পর্ব।
তাই প্রত্যেকটি সিরিজ পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো।
কেননা প্রত্যেকটি সিরিজ আপনি না পড়লে এই বিষয়ে আপনার সংশয় আসতে পারে।