শিরক ও প্রকারসমূহ
১ম খন্ড
শিরকের সরল সংজ্ঞা হল, গাইরুল্লাহকে আল্লাহ তায়ালার কোন বৈশিষ্ট্যের মধ্যে শরিক করা।
“শিরক প্রধানত দুই প্রকার:
১. শিরকে আকবার।
২. শিরকে আসগার।
১. শিরকে আকবর: এমন শিরক যে শিরককারীকে আল্লাহ তাআলা তওবা ছাড়া কখনো ক্ষমা করবেন না ।
বরং সে যদি শিরকে লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তাহলে তাকে চিরকাল জাহান্নামের আগুনে রেখে দিবেন।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা তাঁর সাথে শিরকের গুনাহ ক্ষমা করেন না, তবে শিরক ব্যতীত অন্যান্য গুনাহ যাকে ইচ্ছা তাকে ক্ষমা করে দেন (সুরা নিসা:৪৮)
তিনি আরো ইরশাদ করেন,
যে আল্লাহ তাআলার সাথে শিরক করবে (সে জেনে রাখুক) আল্লাহ তাঁর উপর জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন, আর তাঁর ঠিকানা হল জাহান্নাম।
শিরকে আকবার মৌলিকভাবে চার প্রকার
১. দুআর মধ্যে শিরক করা:-
আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত অন্য কারো কাছে( যেমন মাজার, পীর ইত্যাদির কাছে) দোয়া করা ।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,
যে কেউ আল্লাহর সাথে অন্য এমন উপাস্যকে ডাকে, তাঁর কাছে যার সনদ নেই,
তাঁর হিসাব তাঁর পালনকর্তার কাছে আছে নিশ্চয়ই কাফেররা সফলকাম হবে না( আল মুমিনুন:১১৭)
শায়খ, উস্তাদ বা পীরের অন্ধ অনুসরণ নয়
২. আনুগত্যের মধ্যে শিরক করা:-
অর্থাৎ আল্লাহর অবাধ্যতায় পীর, ধর্ম গুরু ,শাসক, ওলামায়েসূ বা এজাতীয় অন্য কাউকে মান্য করা।
কোনো ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলার হুকুম স্পষ্ট হওয়া সত্ত্বেও নিজের পীর /শায়েখ ,শাসক বা ধর্মগুরুর আনুগত্য করা।
যেমন কারো কাছে কুরআন-সুন্নাহর দলিলের আলোকে একথা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মাণ হল যে, বর্তমানে তার উপর জিহাদ ফরজে আইন হয়েছে।
পীর /শায়খ,উস্তাদ বা শাসক তাকে এ ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করছে এবং তাকে জিহাদের পথে অগ্রসর হতে নিষেধ করছে।
এমতাবস্থায় এই লোকটি যদি পীর /শায়খ ,বা শাসকের কথামতো জিহাদ পরিত্যাগ করে, জিহাদের পথে অগ্রসর না হয়,
তাহলে সে আল্লাহর হুকুমের উপর পীর/ শায়খ বা শাসকের কথাকে প্রাধান্য দিল এবং আল্লাহর অবাধ্যতায় তাদের আনুগত্য করল।
তখন ওই ব্যক্তির দ্বারা আনুগত্যের মধ্যকার শিরক পাওয়া গেল ।ফলে সে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে মুশরিকে পরিণত হলো।
আল্লাহ তাআলা খ্রিস্টানদের ব্যাপারে বলছেন:
তারা আল্লাহ ব্যতিরেকে তাদের পন্ডিত ও সংসার বিরাগীদের রব রূপে গ্রহণ করেছে এবং মরিয়মের -পুত্র মাসীহকেও।
অথচ তাদেরকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র এক ইলাহর ইবাদতের জন্য,
তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই তারা যে শরীক সাব্যস্ত করে তা থেকে তিনি পবিত্র ( সূরা তাওবা,৩১)
প্রিয় পাঠক/ পাঠিকা আপনাদের সুবিধার্থে সিরিজ আকারে লেখাগুলো সংকলন করা হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্ব পড়তে ক্লিক করুন শিরক কত প্রকার ও কি কি
তাই প্রত্যেকটি খন্ড পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো।
কেননা প্রত্যেকটি খন্ডন আপনি না পড়লে এই বিষয়ে আপনার সংশয় আসতে পারে।