উসমানীয় খিলাফাহ পতনের পর বিশ্বের মুসলিমদের উপর নেমে আসে, পরাজয় ও গোলামের এক অন্ধকার যুগ।
অভিভাবকহীন এই উম্মাহ পাশ্চাত্যের সামরিক ও বুদ্ধিভিত্তিক আগ্রাসনের নির্মম শিকারে পরিণত হয়।
ঠিক সে সময়, জাতিসংঘ কে কেন্দ্র করে, সমস্ত কুফফার একজোট হয়ে, বিশ্বের বুকে তৈরি করে গণতন্ত্রের কুফরি শাসন ব্যবস্থা।
আরো পড়ুনঃ ইসলামের দৃষ্টিতে গনতন্ত্র সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ পর্ব১
তাদের এই কুফরি, শিরকি শাসনব্যবস্থা মুসলিম রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তারা নিযুক্ত করে পুতুল সরকার।
আর এই পুতুল সরকাররা তাদের এই গণতান্ত্রিক কুফরি ও শিরকি মতবাদকে,মুসলিম বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করতে উঠে পরে লাগে।
পুতুল সরকার নিযুক্ত করে তারা ক্ষান্ত হয়নি, মিডিয়ায় তারা ব্যাপক প্রচার -প্রসার চালায়।
এবং শিক্ষা ব্যবস্থা তারা তাদের কুফুরি ও শিরকি আকিদার আলোকে সাজায়।
ফলে মুসলিম বিশ্ব তাদের আকিদাহ ও আদর্শকে অনায়াসে গ্রহণ করতে শুরু করি।
পাশ্চাত্যের আকিদার মধ্যে যা যা রয়েছেঃ- ব্যক্তিস্বাধীনতা, সেকুলারিজম, লিবারেলিজম, জাতীয়তাবাদ ,জড়বাদ, নারীবাদ, লিঙ্গ-সমতা মত জঘন্য জঘন্যতম পাপ সমূহ।
আরো পড়ুনঃ ইসলামের দৃষ্টিতে গনতন্ত্র সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ পর্ব২
একটু বিচক্ষণতার সাথে ভাবলে বোঝা যায়, তাদের এই মতাদর্শ ইসলামের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক ।
( কলবর বৃদ্ধি পাবে বিধায় এই পর্বে এগুলোর ব্যাখ্যা করলাম না। অন্য কোন পর্বে এগুলোর ব্যাখ্যা করবো ইনশাআল্লাহ )
এটা সব সময় মনে রাখবেন,
প্রয়োজনে নোট করে রাখবেন
গণতন্ত্র হলো পাশ্চাত্যের সকল কুফুরি আকিদাহ- বিশ্বাসের একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ”
ইসলামি কুফর কিংবা ইসলামি শিরক যেমন কখনো হতে পারে না। তেমনি ইসলামে গণতন্ত্র হতে পারে না। ইসলামি গণতন্ত্র আর ইসলামি কুফর দুইটাই এক কথা।
অনেকে বলে থাকে ভোট একটা আমানত ভোট একটা ইবাদাত ।আপনি একটু চিন্তা করে দেখেন,
যে গণতন্ত্র কুফরি ,শিরকি মতবাদ বাস্তবায়নের জন্য তৈরি করা হয়েছে। সেই গণতান্ত্রিক সিস্টেমের ভোট কিভাবে আমানত, ইবাদত হতে পারে ?
এই গণতান্ত্রিক নিয়মে পরিচালিত সংসদ সদস্যরাই তো মুসলিমদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে বসে বসে মদ, জিনা,জুয়া সুদের বৈধতা দিয়ে যাচ্ছে।
কথিত ইসলামিক গণতন্ত্রের নেতারা অনায়াসে একটা কথা বলে থাকেন,
নির্বাচনে জিতে ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে আমরা সব কুফুরী শিরকি আইন ধ্বংস করে ইসলামিক আইন কায়েম করবে।
কিন্তু তাঁরা এটা জানেই না, গণতান্ত্রিক নির্বাচন একটা জুয়া খেলা,
নির্বাচনের সকল কলকাঠি সয়ং আমেরিকা হুকুমে চলে তারা বেশির চেয়ে বেশি কথিত ইসলামিক গণতন্ত্র দলগুলোর কে একটা ওয়ার্ডের মেম্বার বা একটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বা সংসদে ৪/৫ আসন দিবেন এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।যাতে লোভে পড়ে গণতন্ত্রের মানহাজ পরিত্যাগ না করে।
আর যদি ভুলক্রমে ইসলামিক গণতান্ত্রিক দলগুলো নির্বাচনে জিতেও যায় ।
আরো পড়ুনঃ আল্লাহ জালিমকে ছাড় দেন ছেড়ে দেন না
তখন কুফফার শক্তি গণতন্ত্রের ধারক বাহকেরা নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে সামরিক আক্রমণের মাধ্যমে তাদেরকে ক্ষমতা কেড়ে নিবে।
যেমন, আলজেরিয়ার ইসলামিক সেল ভিশন ফন্ড, মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিম, গাঁজার হামাস, তিউনিশিয়ার আন -নাহদা , উপমহাদেশের জামাতে ইসলাম এর জ্বলন্ত উদাহরণ।
গণতন্ত্র কেবল তাদের পোষা কুকুরদের কে ক্ষমতায় বসায়। শরীয়াহ বাস্তবায়নকারী কোন সাচ্ছা মুসলিমকে ক্ষমতায় বসাবে না।
ইসলামী গণতন্ত্র আমাদের কি দিয়েছে, আর কি কেড়ে নিয়েছে
কথিত ইসলামিক গণতন্ত্র মুসলিমদেরকে তাওহীদুল হাকিমিয়্যাহর আকিদাহ থেকে বিচ্যুত করেছে । কথিত ইসলামি গণতন্ত্রের বাহকরা হেকমতের নামে এই আকিদাহ জনগণের সামনে স্পষ্ট করেনি।
ফলে অধিকাংশ মুসলিম জানে না, আল্লাহ ছাড়া কেউ কে বিধানদাতার মালিক মনে করা শিরক।
গাইরুল্লাহকে বিধানদাতা মনে করা শিরক। গাইরুল্লাহ কে বিধানদাতা হিসেবে নির্বাচন করা শিরক।
এবং আল্লাহ তায়ালার নাযিলকৃত আইনকে মানুষের অনুমতির জন্য সংসদে উত্থাপন করা সম্পূর্ন শিরক।
কথিত ইসলামিক গণতন্ত্রের ধারক বাহকরা সংসদে গিয়ে আল্লাহর নাযিলকৃত আইনের বিপরীতে গণতন্ত্রের কুফরি শিরকি আইনের শপথ গ্রহণ করেছে।
ফলে জনগণ শরীয়াহ আইন যে বাস্তবায়ন করা ফরজ তা ভুলে গেছে।( নাউজুবিল্লাহ)
কথিত ইসলামিক গণতন্ত্র ধোঁকায় পরে, মুসলিম আজ ইসলামিক খিলাফা ,ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা, ইসলামিক অর্থনীতি ,ইসলামী দন্ডবিধির কথা ভুলে গেছে ।
কথিত ইসলামিক গণতন্ত্র মুসলিম উম্মাহকে দ্বীন কায়েমের নববী মানহাজ দাওয়াহ, ই'দআদ, জিহাদ থেকে বিচ্যুত করেছে। এবং কুফরি গণতন্ত্রের পথে ধাবিত করেছে।
কথিত ইসলামি গণতন্ত্র, তাগুতের সাথে বন্ধুত্ব করতে শিখিয়েছে। ইসলামের মহান এক পথ জিহাদকে অপব্যাখ্যা করতে শিখিয়েছে।
নাউজুবিল্লা-হি মিন জা-লিক