শরীয়া ভিত্তিক ইসলামী রাষ্ট্র গঠন
ইসলামিক “ল” তথা শ'রিয়াহ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের উদ্দেশ্য ই জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য।
আল্লাহর আইন চাই। সৎ লোকের শাসন চাই। এই মূলমন্ত্র দিয়েই জামায়াতে ইসলামী তৌহিদি জনতার মাঝে পরিচিত হয়।
আপনি সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদূদীর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এনালাইসিস করে আসেন৷
এমন কী হাল জমানায় জামায়াতে ইসলামীর বিপ্লবের সূতিকাগার ছিলো আল্লামা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী।
উনার বক্তব্য গুলো ইউটিউবে এখনো আছে। মানবরচিত আইনের বিরুদ্ধে। সে'ক্যু'লারিজম এর বিরুদ্ধে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধে। ইত্যাদি ইত্যাদি।
অর্থাৎ জামায়তে ইসলামী আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করার জন্যই ইসলামী আন্দোলন করে।
আল্লাহর আইন যেই শরীয়াহ তো একই।
৯০ দশকে এই ইসলামপন্থী দল টাই একটা শ্লোগান সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছিলো যে।
আমরা হবো তা'লি'বান,
বাংলা হবে আফ'গা'ন।
উপমহাদেশে জামায়াত ধারার সাথে মু'জা'হিদ ধারার মৌলিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিলো, আল্লাহর আইন তথা শরিয়াহ কায়েমের পদ্ধতি নিয়ে৷
এই নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়নি মু'জা'হিদরা শ'রীয়াহ চায় আর জামাত মানবরচিত আইন চায়৷
মু'জা'হিদীন রা এই নীতিতে আল্লাহর আইন চায়। কুরআন সুন্নাহ পদ্ধতিতে। সীরাতের পদ্ধতিতে। তথা জি'হা'দের পদ্ধতিতে।
জামায়াত তার বিপরীতে আল্লাহর আইন চায় অন্য পদ্ধতিতে।
তারা মনে করে ক্ষমতার পালাবদল গণতান্ত্রিক নির্বাচনে হয়।
আর এভাবেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে আল্লাহর আইন কায়েম করে৷
।জামায়াত কখনো গণতন্ত্র কে জীবন বিধান হিসাবে মেনে নেয় নি। গ্রহণ করেনি।
তারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন কেই শুধু ক্ষমতার পালাবদল হিসাবে গ্রহণ করেছে।
এটাই ছিলো জামায়তের স্পষ্ট স্টেটমেন্ট।
আজ জামায়াত ও আল্লাহর আইন চায়।
তাওহীদবাদিরাও আল্লাহর আইন চায়।
কি দিয়ে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন হবে। সেই টপিক বাদ। আমাদের চাওয়া তো এক৷
এখন আমরা আল্লাহর আইন চাই ( শরীয়াহ) এটা কে ডিফেন্স করতে আসবে কোন দু:সাহসে?
আমরা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বললে এরা আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়?
এরা কোন যুক্তিবলে আমাদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়?
জামায়াতের সাথে আমাদের দ্বন্দ্ব টা সর্বোচ্চ হতে পারে আল্লাহর আইন বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে।
কিন্তু আজ কি কারণে শরীয়াহ চাই এই শব্দের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে জামাত শিবিরের লোকেরা।
জামাত শিবিরের লোকদের স্পষ্ট করে বলতে চাই।
শরীয়াহ তথা আল্লাহর আইন কায়েমের বিরুদ্ধে দাড়ালে তুমি কীসের জামাত?
তোমরা কি আজ জামাত শিবির কে সংস্কার করে ফেলছো?
জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য উদ্দেশ্য কে গলা চেপে ধরেছো?
আর আমরাও আল্লাহর আইন চাই। এটা কী আমাদের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে? নাকি এটা নবী সাহাবাদের দেখানো পদ্ধতিতে?
তাহলে এটা কিসের সহনশীলতা? আমাদের আল্লাহর আইন চাওয়া পদ্ধতিতে তুমি এক মত না হতে পারো৷
অন্তত চুপ তো থাকতো পারো। অন্তত এটা ভেবে এই পথে নবী সাহাবারা জীবন দিয়েছে।
কিন্তু আজ আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন পদ্ধতি নয়।। বরং আল্লাহর আইন শব্দটার বিরুদ্ধেই তোমরা অধিকাংশ দাঁড়িয়ে গেছো।। তোমাদের স্পষ্ট সতর্ক করে গেলাম৷
সূত্র: আল ইন্তিফাদা