(মুসলিমবিডি24ডটকম)
পিতার দোয়া সন্তানের ক্ষেত্রে অবশ্যই কবুল হয়। অনুরূপ মাতার দোয়া ও তার সন্তানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কবুল হয়।এবং এর প্রতিক্রিয়া ও খুব দ্রুত প্রকাশ পায়।
তাই পিতা মাতার নেক দোয়া সব সময়ই নিজের পাথেও হিসাবে গ্রহণ করা উচিত।
তাদের বদদুয়া থেকে যেকোন ভাবেই হোক বেঁচে থাকা উচিত।
সন্তানের পক্ষ থেকে দুঃখ-কষ্টে জর্জরিত হলেও মা-বাবা সন্তানকে তাদের স্নেহ মমতার কারণে বদ দোয়া করেন না।
কিন্তু কখনো কখনো সন্তানের কাছ থেকে মা-বাবা ধারণাতিত আঘাত পায়। তখন তাদের সহ্যের ক্ষমতা টুটে যায়।
তখন ই অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের মুখ থেকে বদদোয়ার অভিশাপ বের হয়ে আসে।
তারপর এই বদ্ দোয়া সেই সন্তানের ধ্বংস ডেকে আনে
তাই মা বাবাকে যতটুকু সম্ভব সন্তুষ্ট রাখা উচিত। তাদের অসন্তুষ্টি সন্তানের জন্য মস্ত বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এবং তাদেরকে যেন কোনভাবে কষ্ট দেয়া না হয় সেদিকে খুব লক্ষ্য রাখা উচিত।
আল্লামা জজরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তার হিসনে হাসিন কিতাবে নিশ্চিত ভাবে দোয়া কবুল হয় এমন ব্যক্তিদের তালিকায় তাকেও অন্তর্ভুক্ত করেছেন,যে পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করে।
বান্দা যখন পিতা মাতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে দেয়, নিজে শত দুঃখ কষ্ট ভোগ করে মা বাবাকে সুখ-শান্তিতে রাখে,
তখন তার দোয়ার মধ্যে কবুলিয়াতের শক্তি অর্জিত হয়। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে তার দোয়া প্রতিনিয়ত গ্রহণযোগ্যতার মর্যাদা পায়।
আল্লাহ তায়ালা যাকে এই তৌফিক বা সামর্থ্য দান করেছেন সে যেন তার নিজেকে তার পিতা-মাতাকে এবং অন্যান্য মুসলমানদেরকেও বিশেষ করে আমি অধমকে দোয়া থেকে বঞ্চিত না করে। আমিন।
পিতা মাতার সেবা করা উচ্চস্তরের ইবাদত, অবাধ্য সন্তানের ব্যাপারে পিতা-মাতার করণীয়, পিতার খেদমত করার আশ্চর্য পরিনাম