(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
সন্তান জন্মগ্রহণ করলে খরচাপাতি আছে। হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করলে হাসপাতালের বিল দিতে হয়,
ওষুধপত্র কিনতে হয়, ৬ মাস হলে বাজার থেকে দুধ, সেরেলাক, ডায়পার কিনতে হয়। নবজাতকের জন্য আলাদাভাবে খরচ করাটা সব যুগেই ছিলো।
মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো সন্তান জন্মের আনন্দ সন্তান জন্মগ্রহণ করলে খরচাপাতি আছে।
হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করলে হাসপাতালের বিল দিতে হয়, ওষুধপত্র কিনতে হয়, ৬ মাস হলে বাজার থেকে দুধ, সেরেলাক, ডায়পার কিনতে হয়।
নবজাতকের জন্য আলাদাভাবে খরচ করাটা সব যুগেই ছিলো।
মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো সন্তান জন্মের আনন্দে যেমন খুশি হয়, তেমনি খরচের কথা মনে পড়লে কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়ে।
বাবাকে তখন ‘ওভারটাইম' কাজ করতে হয়। যারা আগে থেকে টাকা জমিয়েছে, তারা তখন টাকা তুলে খরচ করে।
ইসলামের স্বর্ণযুগে সন্তানের মা-বাবাকে এমন চিন্তা করতে হতো না। তখন প্রত্যেক নবজাতকের জন্য অর্থ বরাদ্দ ছিলো।
শুধু ‘অর্থমন্ত্রণালয়ে' (বায়তুল মাল) জানাতে হতো। বাড়িতে ‘ভাতা' চলে আসতো।
উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর সময় একেকজন নবজাতকের জন্য ১০০ দিরহাম বরাদ্দ ছিলো।
নবজাতকের বাবা সাহাবী-তাবেয়ীগণ এই ১০০ দিরহাম দিয়ে চাইলে ৮ টি ভেড়া কিনতে পারতেন।
সেই অনুসারেও যদি বর্তমানে এই প্রথাটা চালু হতো, তাহলে প্রত্যেক নবজাতক দুনিয়াতে আসার সাথে সাথে অন্তত ৮০,০০০ টাকা পেতো!
খিলাফত, ইসলামি রাষ্ট্র মানেই শুধু চোরের হাত কাটা নয়।
ইসলামের স্বর্ণালী যুগে রাষ্ট্রের জনকল্যাণমুখী দিকগুলো এতো বিস্তৃত ছিলো, এতো চমৎকার ছিলো, বর্তমান সময়ে তথাকথিত অনেক রাষ্ট্রে এমন সুবিধা নেই।
তথ্যসূত্র:
ড. আলী সাল্লাবী, উমর ইবনুল খাত্তাব: ১/৪৮৭