(মুসলিম বিডি২৪ডটকম)
আরবি মাসের সপ্তম মাস রজব মাস” পূর্ণ নাম রজব আল মুরাজ্জাব সম্ভ্রান্ত, প্রাচুর্যময়, মহান ইত্যাদি। সম্মানিত মাসের মধ্যে রজব একটি মাস।
“জনাবে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন আল্লাহ তাআলা আসমান জমিন সৃষ্টি করার পর পরই বারো মাস সৃষ্টি করেছেন। তার মধ্যে চার মাস নিষিদ্ধ”
অন্যদিকে আল্লাহ কুরআনে ইরশাদ করেন “নিশ্চয়ই আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর কাছে গণনায় মাস বারটি।
তার মধ্যে চারটি সম্মানিত হওয়ার কারণে নিষিদ্ধ। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। (সূরা তাওবা আয়াত ৩৬)
আনাস রা. থেকে রেওয়ায়েত, তিনি বলেন যখন রজব মাস শুরু হতো, নবী করীম সাঃ তখন এই দোয়াটি পড়তেন।
اللهم بارك لنا في رجب وشعبان وبلغنا رمضان
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. তিনি বলেন পাঁচটি রাত এমন আছে যেগুলোতে বান্দার দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না।
- জুমার রাত
- রজবের প্রথম রাত
- শাবানের ১৫ তারিখের রাত
- ঈদুল ফিতরের রাত
- ঈদুল আযহার রাত
বেশি বেশি রোযা রাখুন এই মাসে
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা বলেন আমি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে রমজানের পর সব চাইতে বেশি রজব ও শাবানে রোজা রাখতে দেখেছি।
নবীজি সাঃ বলেন যে ব্যক্তি রজব মাসে (ইবাদত দ্বারা) জমিন চাষাবাদ করল না, আর শাবান মাসে (ইবাদত দ্বারা) মনের জমিনের আগাছা মুক্ত করল না,
সে রমজান মাসে ইবাদতের ফসল তুলতে পারবেনা।(বায়হাকী)
নবীজি সাঃ বলেন রজব হল আল্লাহর মাস, আর শাবান হল আমার মাস, আর রমজান হলো আমার উম্মতের মাস (তিরমিজি)
নবীজি রজবে 10 টি রোজা রাখতেন, আর শাবানে 20টি, রমজানে 30 টি।
লিখেছেন: মুফতি আবু তাহের হাফিঃ যোগাযোগ: 01786230727
আরো পড়ুনঃ 👇
শবে কদর হাজার মাসের শ্রেষ্ঠ এক রাত,মুহাররম মাসের ফজিলত, শরীয়তের দৃষ্টিতে মেরাজ রজনীর আমল