(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
‘মসজিদ’ আরবি শব্দ। অর্থ- সিজদার জায়গা। মুসলমানদের জন্য মসজিদ এমন এক পবিত্রতম স্থান, যাকে কেন্দ্র করে মুসলিম মিল্লাতের গোটা
জীবন আবর্তিত হয়ে থাকে। মসজিদ ছাড়া ইসলামি জনপদের ধারণাই করা যায় না। এ কারণে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায়
পৌঁছার পরপরই মসজিদ তৈরির ব্যবস্থা করেন। তিনি স্বহস্তে পাথর বহন করে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। ইসলামী সমাজে মসজিদ শুধু নামাজ
আদায়ের জন্য নয় বরং তা মুসলমানের সকল কর্মকান্ডের এবং সকল তাৎপরতার কেন্দ্রস্থল হল এই মসজিদ। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের
সাথে পড়ার মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্বের সৃষ্টি হয়। এজন্য মসজিদ হয়ে ওঠে সকল সমস্যার সমাধানের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। জাতি গঠনের মহৎ
উপাদান হিসেবে এবং সুষ্ঠু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের বিকাশে মসজিদ কিভাবে পালন করতে পারে মদিনার মসজিদে নববী এর প্রকৃষ্ঠ প্রমাণ।
পবিত্র কুরআনে ঘোষিত হয়েছে:- তারাই তো আল্লাহর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে, যারা ঈমান আনে আল্লাহ ও আখেরাতে।(সূরা তওবা-১৮)
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদ নির্মাণ করতে এবং তা চালু রাখার জন্য বিভিন্নভাবে প্রেরণা দিয়েছেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন:- যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য মসজিদ তৈরি করে তার জন্য আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে ঘর তৈরি করেন।(তিরমিজি শরীফ পৃ. ১০৩)
হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে:- সে ব্যক্তি আল্লাহর আরশের ছায়ার নিচে স্থান পাবে যার মন সব সময় মসজিদে লেগে থাকে।(বুখারী শরীফ) মসজিদ
আবাদ করার অর্থ ঘর বা বিল্ডিং তৈরি করা বুঝায় না। বরং প্রকৃতপক্ষে মসজিদে আল্লাহর এবাদত বন্দেগি করা এবং জামাতে নামাজ প্রতিষ্ঠা করা
বুঝায়। মসজিদ মুসলমানদের সমস্যা সমাধানের মূলকেন্দ্র হওয়া উচিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা-ই করেছিলেন। তিনি অসুস্থ
অবস্থায়ও মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করেছিলেন।