(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সাথে সাথেই ঘাড়ে শরীয়তের সমস্ত দায়িত্ব এসে যাবে। এতদিন বাবা খাইয়েছেন, টাকা দিয়েছেন! এখন আর বাবার কাছে হাত পাতা
উচিত হবে না! বাবার কাছে এখন চাইতে লজ্জা বোধ হওয়া দরকার! বাবা এখনো যদি দেয় তাহলে সেটা তার অনুগ্রহ, মেহেরবানী। এ অবস্থায় তার
শুকুর আদায় করা উচিত। কিন্তু তার ওপর কোনো রাগ, দাবি চলবে না বরং এখন তাকে রোজগার করে খাওয়ানো দরকার। অবশ্য রোজগারের সময়
যাবতীয় পাপ পথ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। যৌবনের সাথে সাথে মুখে দাড়ি দেখা দিলে অসৎ সঙ্গের প্রভাবে এবং অন্যের অনুকরণের দুর্বলতার
কারণে দাড়ি কামিয়ে ফেলতে মন চাইবে। কিন্তু এ সময় খেয়াল রাখবে, যে লোক রাসুলের আদর্শ অমান্য করবে, কুসঙ্গের তাবেদারি করবে, রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মনে ব্যথা দিয়ে বিজাতির অনুসরণ করবে তার স্থান আখেরাতে কোথায় হবে? এটা একবার চিন্তা করে দেখা
প্রয়োজন! এটা কখনোই মনে করবে না যে, এটা মোল্লা মৌলবীদের মনগড়া কথা বরং এটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অলংঘনীয়
আদেশ। তিনি বলেন:- হে মুসলমানগণ! সাবধান! তোমরা দাড়ি লম্বা কর এবং মোচ খাটো করে রাখ। (আল হাদিস) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
এর এই হাদিসটি যে কত বড় উপকারী এবং কত প্রয়োজনীয় তা পরকালে তো বুঝা যাবেই এবং দুনিয়াতে যখন জ্ঞানচক্ষু খুলে যাবে তখন বুঝবে। (বেহেশতি জেওর ৬/২৮৮)