(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
পাপের কারণে ইলম থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়। রোজগারে বরকত হয় না। ইবাদতে মন বসে না। নেককারদের সংসর্গ ভালো লাগে না। অনেক সময়
কাজে বিভিন্ন রকমের বাধা এসে দাঁড়ায়। অন্তর অপরিষ্কার হয়। হৃদয়ে ময়লা জমে যায়। সাহস হ্রাস পায়। এমনকি মনের দুর্বলতার কারণে অনেক সময়
শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। মনে আনন্দ থাকে না। নেক কাজ ও ইবাদত বন্দেগী হতে বঞ্চিত থাকে। তওবা করার সুযোগ হয় না। পাপ করতে করতে শেষে পাপ
কাজের প্রতি ঘৃণার ভাব দূর হয়ে যায় বরং ভালো বলে মনে হতে থাকে। এমন হওয়া খুবই দুর্ভাগ্যের আলামত! আল্লাহ পাকের কাছে লাঞ্চিত ও
অপমানিত হয়। অনেক সময় পাপের কারণে অন্যান্য লোক এমনকি জীবজন্তুরও দুঃখ-কষ্ট ভোগ করতে হয়। পরে তাদের বদ দোয়া ও অভিশাপে
পতিত হতে হয়। জ্ঞান বুদ্ধি ক্রমশঃ লুপ্ত হতে থাকে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ থেকে তার প্রতি লানত পড়তে থাকে। ফেরেশতাদের
দোয়া হতে বঞ্চিত হয়ে যায়। দেশে ফসলাদির উৎপাদন হ্রাস পায়। হায়া-শরম কমে যায়। আল্লাহ পাক যে কত বড় ক্ষমতাশীল সে খেয়াল হৃদয় থেকে
দূর হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলার নিয়ামত ক্রমশঃ কমতে থাকে। নানা রকম আপদ-বিপদ, বালা মুসিবতে ঘিরে ধরে। শয়তান তার ওপর শয়তানি
প্রভাব বিস্তার করে। মন অস্থির থাকে। মউতের সময় মুখ দিয়ে কালেমা উচ্চারিত হয় না। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ে যায়। অবশেষে তওবা না
করেই মৃত্যুবরণ করে। (বেহেশতি জেওর ১/২৮-২৯)