Home / বিশ্লেষণ ও গবেষণামূলক / শিক্ষকের মর্যাদা ও কর্তব্য

শিক্ষকের মর্যাদা ও কর্তব্য

(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)

শিক্ষকের মর্যাদা ও কর্তব্য

এ পৃথিবীতে শিক্ষকতার আসনটি সবচেয়ে বেশি মর্যাদাশীল। এর চেয়ে অধিকতর সম্মানজনক কোন পদ আছে বলে আমি বিশ্বাস করি না।

কারণ, কোন দেশের প্রেসিডেন্ট কে যদি সে দেশের সবচেয়ে সম্মানিত মানুষ হিসাবে মনে করা হয়, তাহলে আমি বলব সেই প্রেসিডেন্টের শিক্ষক তার চেয়েও বেশি সম্মানিত।

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে কুরআনী শিক্ষা গ্রহণ করে এবং উক্ত শিক্ষা দান করে”। 

ক্ষণিকের এ দুনিয়াতে মানুষ সর্বদা যাদেরকে হৃদয়ের সম্মানিত আসনে ও অধিষ্ঠিত করে রাখে শিক্ষক তাদের অন্যতম।

এমন লোক খুব কমই পাওয়া যাবে যারা তার ওস্তাদকে সম্মান করে না। তেমনি ভাবে দোয়া মোনাজাতে মা-বাবার সাথে ওস্তাদিকে সামিল করে না।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এ দুনিয়ায় যত আম্বিয়ায়ে কেরাম প্রেরণ করেছেন সকলকেই শিক্ষক হিসাবে প্রেরণ করেছেন।

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,“আমি জগৎবাসীর জন্য শিক্ষক হিসাবে প্রেরিত হয়েছি” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী থেকে,

শিক্ষকের মর্যাদা বিশেষ করে দ্বীনি শিক্ষার শিক্ষকগণের সীমাহীন মর্যাদা ও দায়িত্ব সম্পর্কে ধারণা নেয়া যেতে পারে

 

স্বয়ং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীতে শিক্ষক হিসাবে এসেছেন, আর আমরা যারা দ্বীনি শিক্ষার শিক্ষক হিসাবে নিয়োজিত আছি,

তারা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে তার আসনে আদিষ্টিত হয়েছি।

সুতরাং আমাদের নিজেদেরকে চিনতে হবে জানতে হবে

সাথে সাথে দায়িত্ব পালনে কোনোরকম আমাদের থেকে অবহেলা প্রকাশ পাচ্ছে কিনা সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

একজন শিক্ষক যেমনি ভাবে ছাত্রের পড়ালেখার শিক্ষক তেমনিভাবে শিক্ষকের চালচলন আচার-আচরণ

কথাবার্তা শালীনতা ভদ্রতা সকল কিছুই ছাত্রের চরিত্র গঠনের জন্য শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে।

সুতরাং কোন শিক্ষক যদি মিথ্যা হিংসা পরনিন্দা ইত্যাদি চারিত্রিক ত্রুটি এরাতে না পারেন,

তাহলে তার ছাত্ররা স্বাভাবিকভাবেই এর সকল ত্রুটিপূর্ণ বিষয়ে অভ্যস্ত হবে।

ছাত্রকে বলতে হবে না যে দেখো আমি মিথ্যা বলে থাকি অতএব তোমরা মিথ্যা বলো। আমি পরনিন্দা করুম সুতরাং তোমরাও করবে।

কিছু বলা ছাড়া এই ছাত্ররা এমন একটি এ সমস্ত অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। কারণ ছাত্ররা মনের অজান্তেই শিক্ষককে নিজের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে থাকে।

বিশেষ করে কোমলমতি শিশুদের কথা তো আরো ভিন্ন। তাদের তো কথাবার্তা থেকে নিয়ে সবকিছু শিখতে হয় তাদের বড়দের থেকে।

এছাড়া বিকল্প কোন পথ তাদের নেই। একটি গাছ যদি খাটো হয়,

তাহলে তার ছায়াও খাটো হবে, এটাই স্বাভাবিক। আর গাছ যদি লম্বা হয় তার ছায়াটাও লম্বা হবে।

দশটি বাতাওলে ছায়া টা সোজা হবে এরকম কথা যেমন কল্পনা করা যায় না,

তেমনিভাবে কোন শিক্ষক ভালো গুণে গুণান্বিত না হলে তার ছাত্র ভালো হবে একথা ভাবা যায় না।

ব্যতিক্রম ছাড়া এমনটি হয়ো না। তাই নিজেদেরকে চিনে নিজেদের অবস্থান জেনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে,

আমাদের আদব আখলাক কেমন হওয়া উচিত আমাদের জীবনকে কোন পন্থায় পরিচালিত করা উচিত।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন।

ছাত্রদের সংশোধন পদ্ধতি,ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে কওমি মাদ্রাসা, যে কারণে মাওলানা সাদ বিতর্কিত ও তাকে মানা হারাম

 

About আবদুল্লাহ আফজাল

হাফিজ মাওঃ মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আফজাল। ২০১২ সনে হিফজ সম্পন্ন করেন। উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন২০১৬ সনে। দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন ২০২০ সনে। ঠিকানা: বালাগঞ্জ, সিলেট। মোবাইল নাম্বার: 9696521460 ইমেইল:hafijafjal601@gmail.com সকল আপডেট পেতে এবং ওয়েবসাইটে লিখা পাঠাতে ফেসবুক পেজ👉MD AFJALツ ফলো করুন।

Check Also

শাশুড়ীর হস্তক্ষেপে মেয়ের সংসার ধ্বংস করে

শাশুড়ীর হস্তক্ষেপে মেয়ের সংসার ধ্বংস করে

(মুসলিমবিডি২৪ডটকম) এটা বাঙালি প্রায় প্রতিটা মেয়েরই গল্প। কেউ সবর করে সুখী হয়, কেউ পরীক্ষার সম্মুখীন …

Powered by

Hosted By ShareWebHost