Home / তাহাজ্জুদ / তাহাজ্জুদ নামাজ কাকে বলে, কখন পড়তে হয়

তাহাজ্জুদ নামাজ কাকে বলে, কখন পড়তে হয়

(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)

তাহাজ্জুদ নামাজ কাকে বলে, কখন পড়তে হয়

গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়াকে “তাহাজ্জুদ নামাজ” বলে। আল্লাহ তাআলার নিকট এ নামাজ সর্বাপেক্ষা বেশি প্রিয়।

হাদীস শরীফে সকল নফল নামাজ অপেক্ষা তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত বেশি বর্ণনা করা হয়েছে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাদ্বিয়াল্লাহু

তাআলা আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় আগমনের পর তার মোবারক জবান দিয়ে প্রথমে এ কথাগুলো শুনিয়েছিলেন:-

তোমরা সালামের প্রসার করো, মানুষকে আহার দান করো, আত্মীয়তা অটুট রাখ, আর মানুষ রাতে ঘুমিয়ে পড়লে তোমরা উঠে নামাজ পড়তে থাকবে।

তাহলেই তোমরা নিরাপদে বেহেশতে যাবে। (তিরমিজি) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও ইরশাদ করেছেন:- ফরজ নামাজের পর

সবচেয়ে উৎকৃষ্ট নামাজ হচ্ছে রাতের তাহাজ্জুদ নামাজ। (মুসলিম) এছাড়াও হযরত সালমান ফারসি রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু বলেন, নবী করীম

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন:- তোমরা তাহাজ্জুদ নামাজের ব্যবস্থা করো, এটা নেক লোকের স্বভাব। এটা তোমাদের আল্লাহর নৈকট্য

করে দিবে, গুনাহগুলো মিটিয়ে দিবে, গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখবে আর শরীর থেকে রোগ দূর করবে। (মুসলিম) অন্য হাদিসে বর্ণিত আছে, রাতের শেষে

আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার দিকে নেমে আসেন এবং বলেন, ডাকার জন্য কেউ কি আছে, যার ডাক আমি শুনবো? চাওয়ার জন্য কেউ কি আছে, যাকে আমি

দিব? গুনাহ মাফ চাওয়ার জন্য কেউ কি আছে, যার গুনাহ আমি ক্ষমা করে দিব। (বুখারী)
এমনিভাবে কোরআন-হাদিসে তাহাজ্জুদ নামাজের

জন্য বিভিন্নভাবে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এটি হচ্ছে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের বিশেষ মাধ্যম। কেউ সফলতার উচ্চ শিখরে উঠতে চাইলে তাহাজ্জুদ

নামাজ তার জন্য অন্যতম মাধ্যম।
এজন্য বহু আলেম তাহাজ্জুদ নামাজকে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলেছেন। তাহাজ্জুদ নামাজ কমপক্ষে চার

রাকাত এবং উর্ধ্বে ১২ রাকাত পড়বে। দু’ রাকাত পড়লেও তাহাজ্জুদ আদায় হয়ে যাবে। শেষ রাতে ওঠা সম্ভব না হলে এশার নামাজের পর আদায়

করে নেবে। এতে নামাজ আদায় হবে বটে কিন্তু শেষ রাতের সমান নেকি পাবে না। (বেহেশতি জেওর ২/১১৮)

About মুহাম্মদ আবদুল্লাহ

আমি মাওলানা মোঃ আব্দুল্লাহ। 15ই এপ্রিল 1994 ঈসায়ি রোজ শুক্রবার মৌলভীবাজার জেলার হামরকোনায়( দাউদপুর) জন্মগ্রহণ করি। শিক্ষা জীবনের শুরুটা প্রাথমিক বিদ্যালয় দিয়ে হলেও 4 বছরের মাথায় ইসলামিক শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে নিজ উদ্যোগে মাদ্রাসায় ভর্তি হই! আলহামদুলিল্লাহ! সর্বশেষ 2017 ঈসায়ি কওমি মাদ্রাসার উচ্চতর ডিগ্রী মাস্টার্স (দাওরায়ে হাদিস) হযরত শাহ সুলতান রহ. মাদ্রাসা থেকে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল ক্বওমিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করি! নিজে যা কিছু জেনেছি তা লিখনীর মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং আমৃত্যু ইসলাম ও মানবতার সম্পর্কে জানতে ও জানাতে এই সাইটের সাথে সংযুক্ত হয়েছি! আল্লাহ আমাকে ও সবাইকে কবুল করুন।আমিন!!!

Powered by

Hosted By ShareWebHost