(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
আমাদের ধারণা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় কোষাগার যদি খালি হয়ে যায়, এবং দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় সারা দেশে। তখন খাবারের জন্য হাহাকার না করে, এখন থেকে সতর্ক হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
দুর্ভিক্ষ আসার পূর্বে আমাদের করণীয় কি?
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন। যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করবে তাকে কোনদিন অভাব অনটনে দেখা দিবে না।
সাহাবায়ে কেরাম রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই নির্দেশনার উপর কিভাবে আমল করতেন?
এক সাহাবি মুমূর্ষ অবস্থায় দেশের রাষ্ট্রপতি উপস্থিত হলেন, এবং তিনি প্রস্তাব করলেন আপনার চারজন মেয়ে দুনিয়াতে রেখে যাচ্ছেন,
আপনি চাইলে আমি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের জন্য ভাতা নির্ধারণ করে দিতে পারি। সাহাবী উত্তর দিলেন এগুলোর দরকার নেই।
কেননা আমি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি যে ব্যক্তি প্রতিরাতে সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করবে,
তার রিজিকের অভাব হবে না। আর আমি আমার চারজন মেয়েকে এই সূরা শিক্ষা দিয়েছি। তাই তাদের জন্য আমার কোন টেনশন নেই।
সুবহানাল্লাহ। তারা কিভাবে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিসের উপর ঈমান রেখে আমল করতেন। তাদের তুলনায় আমাদের আমল কোথায়?
অতএব আমাদের জন্য উচিত হলো, ইসলামের নির্দেশনা মেনে জীবন যাপন করা। প্রতি রাতে সূরা ওয়কিয়া পাঠ করা।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের তাওফীক ডান করুন।
আরো পড়ুনঃ নবী করীম সা: কে কোথায় এবং কে দুগ্ধপান করান, অধীনস্থদের প্রতি সদ্ব্যবহার ইসলামের নির্দেশ,