(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
নামাজী এক কুলির কাহিনীঃ শেষ পর্ব
২য় পর্বের পর…… হঠাৎ সেখানে উজ্জ্বল লৌহ শিরস্ত্রান পরিহিত একজন আরোহীর আবির্ভাব হল।
আরোহী বল্লমের সাহায্যে সেই কুখ্যাত জালেমকে হত্যা করে দিলেন। সেই জালেমের মৃতদেহ যেখানে লুটিয়ে পড়িল সেখানে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠলো।
নামাজরত কুলি তখন বে এখতিয়ার হয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়লো এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলো। অতঃপর দৌড়ে গিয়ে আরোহীকে জিজ্ঞাসা করলো,
দয়া করে বলুন আপনি কে? কেমন করে আসলেন? তিনি বললেন, আমি উক্ত আয়াতের মালিকের গোলাম।
এখন তুমি নিরাপদে যেখানে ইচ্ছা যেতে পারো।এই বলে তিনি চলে গেলেন।
প্রকৃতপক্ষে নামাজ এমন এক সম্পদ যদ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ছাড়াও পার্থিব অনেক মুসিবত হতে ইহা মানুষকে রক্ষা করে।
তদুপরি মনের শান্তি তো অনিবার্য হয়েই থাকে। ইবনে সীরীন রহঃ বলেন, আমাকে যদি দুই রাকাত নামাজ পড়া ও বেহেশতে গমন করা
এই দুইয়ের মে কোন একটি গ্রহন করার অধিকার দেওয়া হতো, তবে আমি নামাজকেই গ্রহণ করতাম। কারণ বেহেশতে গমন করা আমার সন্তুষ্টির জন্য ও নামাজ পড়া আমার সন্তুষ্টির জন্য।