(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
ছাত্রদেরকে শাসন করার বিষয়ে কথা বলতে হলে আগে জানতে হবে শাসন কত প্রকার।
শাসন পাঁচ পর্যায়ে করতে হবে
এক. সঠিক ও যথাযথভাবে বুঝাতে হবে। দুই. সতর্ক বাণী। তিন. চক্ষু রাঙ্গানি। চার. বলিষ্ঠ ধমক। পাঁচ. বেত্রাঘাত (সহনীয় ও সীমিত)
শাসন বলতে আঘাত বুঝায় না। বেতের ভয় দেখানো শাসনের একটি চূড়ান্ত পর্যায়।
মাসুম বাচ্চাদের গায়ে কখনো বেত লাগানোর চেষ্টা করবেন না। ছাত্রদের গায়ে বেশি বেশি বেত্রাঘাত করা শিক্ষকদের অযোগ্য তারই লক্ষণ।
নিয়ন্ত্রণ শক্তি বা কন্ট্রোলিং পাওয়ার এবং কৌশলগত ক্ষমতা ভালো থাকলে মারপিট করার প্রয়োজন হয় না।
সুতরাং অহেতুক মারপিট না করে তাম্বি এর ৫ পর্যায়ের কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
নিজের ও ছাত্রদের দুর্বলতার জন্য মাওলার দরবারে বেশি বেশি কান্নাকাটি করবে।
ছাত্রদের কতটুকু শাসন করবে
কোন ছাত্রকে পড়াশুনানুরত অবস্থায় ভুলত্রুটির জন্য বেত্রাঘাত করা হিফজখানার নিয়ম নীতি পরিপন্থী।
কেননা এতে ছাত্র ঘাবড়ে গিয়ে সামনের ছবক ভুলে যায়। সুতরাং শাসন হিসেবে বেত্রাঘাত এর প্রয়োজন হলে, তা প্রয়োগ করতে হবে সর্বশেষে পুরো রিপোর্টের আলোকে।
বেত্রাঘাত মারপিট সহ্য করতে করতে ছাত্রের নেসাব ও মানসিক বৈশিষ্ট্যে নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে।
সুতরাং শাসন ও উৎসাহ ব্যঞ্জনক নসীহতের পাশাপাশি উদ্যম ও হারজিত সৃষ্টির কলাকৌশল নির্মাণ ও তার যথাযত বাস্তবায়নে আন্তরিক ও সচেতন হতে হবে।
হিফজ খানার শিক্ষক ব্যতীত ক্লাস চলাকালীন হেফজখানায় কাহারো প্রবেশ জায়েজ হতে পারে না।
কেননা ক্লাসের সময়টা শুধুমাত্র পড়ার জন্যই বরাদ্দ এতে শুধু ছাত্রের হক নিহিত রয়েছে অন্য কারো নয়।
বড় কথা হচ্ছে এতে ক্লাসের পরিবেশ নষ্ট হয়, এবং তার শিক্ষক কর্তৃক হওয়াতে বেশি দূষণীয়।
উপযুক্ত শাসন ও সঠিক তত্ত্বাবধান ছাত্রদের অন্যতম হক
সিনিয়র কোন ওস্তাদ যদি শাসনের ক্ষেত্রেও ক্লাসের বড় ছাত্রদেরকে ছাড় দেন আর শুধু ছোটদেরকেই বেত্রাঘাত করেন তবে বড়রা প্রশ্রয় পেয়ে নিজেদেরকে জবাবদিহিতা মুক্ত ছাত্র মনে করবে।
হিফজ খানার শিক্ষককে পরম ধৈর্য্যশীল হতে হবে।
ছাত্ররা কোরআন শরীফ খুলে অনর্গল গল্প করবে। হাসি তামাসা করবে।
উস্তাদকে পাহারা দিবে। সুযোগ পেলেই গল্প গুজবের মেতে উঠবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ঠান্ডা মাথায় শাসন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ হিফজ বিভাগের ছাত্রদের সবক দ্রুত মুখস্থ করার সহজ পদ্ধতি, হিফজ বিভাগের শিক্ষকদের জন্য ১৪ টি উপদেশ, আন্তর্জাতিক মানের হিফয বিভাগের সিলেবাস