(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
ইমাম গাযালী (রহ) এহইয়াউ উলূম নামক গ্রন্থে লিখেছেন,জন্তু তিন প্রকার।
প্রথমত: যেগুলো মানুষের শুধু উপকৃত করে,ক্ষতির ঘটনা তাদের দ্বারা ঘটে না।ঘটলেও একেবারে কম।যেমন- গরু,ছাগল ইত্যাদি।
এগুলো মানুষকে দুধ দেয়।দুধ বন্ধ হয়ে গেলে মানুষ এগুলো জবাই করে খায়।সুতরাং নিজেদের প্রাণ দিয়ে হলেও এরা মানুষের উপকার করে।
দ্বিতীয়ত: ওই সকল জন্তু,যেগুলো মানুষের শুধুই ক্ষতি করে।উপকার সাধারণত তারা করে না।যেমন,সাপ,বিচ্ছু ইত্যাদি।এগুলো মানুষকে দেখলেই ছোবল মারে।
তৃতীয়ত: ওই সকল জন্তু যেগুলো মানুষের উপকার করে না,ক্ষতি ও করে না।যেমন বনশিয়াল,বাঘডাশা,ইত্যাদি।
তারপর তিনি বলেন,হে মানুষ! তুমি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি।সকল জন্তুর চেয়ে তোমার মর্যাদা বেশি।
অতএব,তুমি যদি মানুষ হতে না পারো,তাহলে কমপক্ষে প্রথম শ্রেণীর জন্তু হও। অর্থাৎ গরু- ছাগলের মতো মানুষের উপকারী হও।কাহারও ক্ষতি কর না।
এও যদি না পারো তাহলে তৃতীয় শ্রেণির জন্তু হও।কাহারও উপকার করো না,ক্ষতিও করো না।যদি তুমি দ্বিতীয় শ্রেণীর জন্তূর মত মানুষকে কষ্ট দাও,তাহলে তোমার মাঝে আর সাপ- বিচ্ছুর মাঝে কোন পার্থক্য থাকল না।
ইসলাহী খুতুবাত: ৮ খন্ড।পৃষ্ঠা ৬৮।
আরো পড়ুনঃ
কোন কোন প্রাণীর গোশত খাওয়া হারাম,। কি ধরণের প্রাণী দ্বারা কুরবানী জায়েজ নেই,। জাপানীদের দীর্ঘজীবনের রহস্য,পানি পানে সতর্কতা খুবই জরুরি; পানি জীবন পানিই মৃত্যুর কারণ