(মুসলিম বিডি২৪ডটকম)
মায়ের ভালোবাসা তুলনাহীন, যিনি স্বার্থবিহীন আপন সন্তানকে সারা জীবন ভালোবেসে যান।
একজন আদর্শ মা আপন সন্তানকে প্রতিষ্টিত করতে নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করেন না।
সুপ্রিয় পাঠক/পাঠিকা
আমি আপনাদের নিকট একটি ঘটনা পেশ করব, একজন মা তার সন্তানের জন্য নিজের জীবন কিভাবে বিলিয়ে দেন,
তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত এই ঘটনায় প্রকাশ পেয়েছে।
এক মায়ের একজন ই সন্তান, আর সেই সন্তান এমন একটি রোগে আক্রান্ত যে,
কোন ধরনের চিকিৎসা তিনি বাকি রাখেন নিয়ে সন্তানের সুস্থতার জন্য।
যখন সন্তান সুস্থতা লাভ করছে না, তখন মা সন্তানের সুস্থতার জন্য মান্নত করলেন।
যদি সন্তান সুস্থতা লাভ করে তাহলে তিনি দিন জীবন্ত কবরে দাফন হবেন
এক পর্যায়ে সন্তান সুস্থতা লাভ করল, তখন ওই মা তার মান্নত পূর্ণ করতে কিছুটা বিলম্ব করলেন।
পরবর্তীতে যখন তিনি একাধিকবার স্বপ্নে দেখলেন, এই মান্নতপূর্ণ না করলে তিনি কঠিন বিপদে পড়বেন।
তখন তিনি মান্নত পূরণার্থে কবরে দাফন হতে রাজি হলেন।
ছেলেকেও তিনি রাজি করালেন, ছেলে মায়ের জন্য খবর খুঁড়ে, সেখানে মাকে রেখে আসলেন।
সেখানে একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটলো
কবরে থাকাকালীন সময় তিনি দেখলেন, দুজন মহিলা তার মাথার দিক থেকে আসছেন।
একজনের মাথার উপর একটি পাখি তার ডানা দিয়ে ছায়া দিচ্ছে এবং বাতাস করে করে নিয়ে আসছে।
অপরজনের মাথার উপর একটি পাখি টুকরাতে টুকরাতে তাকে হাকিয়ে নিয়ে আসছে।
তিনি অবাক হয়ে উভয় মহিলাকে প্রশ্ন করে বসলেন, আপনাদের এই অবস্থা কেন?
যে মহিলার মাথায় পাখি ছায়া দিয়ে বাতাস করে নিয়ে আসছিল তিনি উত্তরে বললেন,
দুনিয়াতে আমি আমার স্বামীকে কোন কষ্ট দেইনি, তার কোন কথার অবাধ্য আমি হইনি।
ফলে তিনি মৃত্যুর সময় আমার উপর সন্তুষ্ট ছিলেন, যার কারণে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আজ আমাকেও শান্তিতে রেখেছেন।
যে মহিমাকে া মাথায় পাখি টুকরাতে টুকরাতে নিয়ে আসছিল, তিনি বললেন দুনিয়াতে থাকাকালীন সময়,
আমার স্বামীকে আমি অনেক কষ্ট দিয়েছি, তার কথার অবাধ্য হয়েছি।
ফলে তিনি মৃত্যুর সময় আমার উপর অসন্তুষ্ট ছিলেন, যার কারণে আজ আমি এই শাস্তি পেতে হচ্ছে।
উপরোক্ত দুইটি ঘটনা থেকে আমরা কি শিখতে পারলাম?
প্রথম ঘঠনা থেকে আমরা জানতে পারলাম, মান্নত করার পর তা পূর্ণ করা ওয়াজিব।
অতএব এমন বিষয়ের মান্নত করতে হবে, যা পূর্ণ করা আমার সাধ্যের ভিতর রয়েছে।
দ্বিতীয়: দুইটি ঘটনা থেকে আমরা জানতে পারলাম, স্বামীর প্রতি দুর্ব্যবহার করা যাবে না।
শরীয়ত সম্মত স্বামীর কোন হুকুমের অবাধ্য হওয়া যাবে না।
মৃত্যুর সময় স্বামী যদি কোন স্ত্রীর উপর অসন্তুষ্ট থাকে, তাহলে এর জন্য শাস্তির আওতাধীন হতে হবে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে সঠিকভাবে বুঝার তৌফিক দান করুন। আমিন।