(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
হযরত ওকবা ইবনে আমির রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন:- আমি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে জিজ্ঞাসা করলাম, নাজাতের (মুক্তির) উপায় কি?
অর্থাৎ পরকালে দোযখের আজাব থেকে মুক্তির, আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি লাভ ও বেহেশতে প্রবেশের উপায় কি? এর উত্তরে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনটি কথা বলেছেন।
প্রথম কথাটি হল:- তোমরা নিজের জবানকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখবে। তোমাদের জবান যেন কখনো তোমাদের কন্ট্রোলের বাইরে না যায়।
দ্বিতীয় কথাটি হল:- তোমাদের বাড়ি যেন তোমাদের জন্য যথেষ্ট হয়। অর্থাৎ তোমরা তোমাদের বেশিরভাগ সময় নিজ নিজ বাড়িতে কাটাবে। বাড়ি থেকে বাইরে বের হবে না।
কেবলমাত্র প্রয়োজন না থাকলে বাইরে যাবেন না, যেন বাইরে যে সকল ফিতনা আছে তা থেকে বেঁচে থাকতে পারো।
তৃতীয় কথাটি হলো:- যদি তোমার থেকে কোন ভুল ত্রুটি, অন্যায় কিংবা পাপ হয়ে যায় তাহলে তার স্মরণ করে কাদবে। কাদবে কথার অর্থ হল তা থেকে তওবা করবে, তার উপর অনুতপ্ত হয়ে ইস্তেগফার করবে।
কাদার অর্থ এই নয় যে, সত্যি সত্যি এর উপর কান্নাকাটি শুরু করে দিবে। যেমন কোন কোন লোক অভিযোগ করে যে আমার তো কান্না আসেই না! এজন্য আমি খুব পেরেশান।
আসল কথা হল যদি এমনিতেই কান্না না আসে তাহলে কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু গুনাহের প্রতি অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহপাকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। বলবে, হে আল্লাহ আমি অন্যায় করেছি, আমি ভুল করেছি, আমাকে মেহেরবানী করে মাফ করে দাও।
কথাগুলো মানার চেষ্টা করুন । ইন শা আল্লাহ পরকালে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে। সাথে সাথে দুনিয়ায় সমস্ত সমস্যা থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন।