একবার উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বসে আলোচনা করেছিলেন।
কথায় কথায় উম্মুল মুমিনীন হযরত সুফিয়ার রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা কথা উঠলো। যেহেতু সতিনদের পরস্পরের মধ্যে সামান্য বিদ্বেষ হয়েই থাকে, আর হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহাও এ মানবিক দুর্বলতার ঊর্ধ্বে নন।
কাজেই তিনি হযরত সুফিয়ার রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা কথা বলতে গিয়ে হাত দিয়ে এভাবে ইশারা করলেন। যার অর্থ হল তিনি বেটে। হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা মুখে বলেননি যে,
তিনি বেটে বরং শুধু হাত দিয়ে ইশারা করেছেন। এর প্ররিপ্রেক্ষিতেই মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আয়েশাকে রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা উদ্দেশ্য করে বললেন:-
হে আয়েশা! আজ তুমি এমন একটি কাজ করেছ যদি এ কাজের দুর্গন্ধ ও বিষ কোনো সাগরে নিক্ষেপ করা হয় তাহলে তা সমগ্র সমুদ্রকে দুর্গন্ধময় এবং বিষাক্ত করে দিবে।
এখন আপনারা চিন্তা করে দেখুন! মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গীবতের কিরূপ কদর্যতা ও জঘন্যতা বর্ণনা করেছেন। অতঃপর মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:-
কেউ যদি আমাকে সারা দুনিয়ার ধন সম্পদ দিয়ে দেয় এবং এর বিনিময়ে কারো প্রতি বিদ্রুপ করে, তা নকল করতে বলে যার মধ্যে তাকে বিদ্রুপ করা এবং তার বদনামের দিকও থাকে তথাপিও আমি এ কাজ করতে প্রস্তুত নই।( তিরমিজি শরীফ ২৬২৪)