(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
একদিন হযরত আবু যর গিফারী রাঃ হুজুর সাঃ কে জিজ্ঞাসা করেন, আল্লাহ তাআলা সর্বমোট কয়টি কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন?
রাসুল সাঃ বলেন,একশত সহিফা ও চারখানা পূর্ণাঙ্গ কিতাব। তন্মধ্যে পঞ্চাশটি হযরত শীষ আঃ, ত্রিশটি হযরত ইদ্রিস আঃ,
দশটি হযরত ইব্রাহীম আঃ ও দশটি হযরত মুসা আঃ প্রাপ্ত হন। ইহা ব্যতিত তাওরাত,যাবুর, ইঞ্জিল এবং কোরআন শরিফ অবতীর্ণ করেন।
হযরত আবু জর রাযিঃ পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের সহিফায় কি ছিল? রাসুল সাঃ বললেন সবগুলি প্রবাদ বাক্য ছিল,
যেমন হে অত্যাচারী ও অহংকারী বাদশাহ! আমি তোমাকে এই জন্য পাঠাইনি যে, তুমি শুধু ধন সম্পদ সঞ্চয় করিবে।বরং এই জন্যই পাঠিয়েছিলাম
কোন মজলুমের ফরিয়াদ যেন আমার দরবার পর্যন্ত পৌঁছতে না পারে। কেননা মজলুম কাফের হইলেও তাহার ফরিয়াদকে আমি প্রত্যাখ্যান করিতে পারিনা।
ওইসব সহীফায় আরো ছিল, জ্ঞানী ব্যক্তির জন্য উচিত কিছুক্ষণের জন্য ও সে যেন জ্ঞানশুন্য না হয়। এবং আপন সময়কে তিন ভাগে বিভক্ত করে নেয়।
প্রথম অংশ আল্লাহর ইবাদতে কাটাবে। দ্বিতীয় অংশ ভালো-মন্দ কৃতকর্মের হিসাব নিকাশে কাটাবে। তৃতীয় অংশ হালাল উপার্জন করিবে ও ব্যয় করিবে।
বুদ্ধিমানের ইহাও কর্তব্য যে, সে যেন আপন সময়ের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখে, আত্মার উন্নতি সাধনে চিন্তাশীল হয়। অনর্থক কথাবার্তা হইতে জবানকে হেফাজত করে।
যে ব্যক্তি নিজের কথাবার্তার হিসাব লইতে থাকিবে তাহার মুখে অনর্থক কথা আর আসিবে না। জ্ঞানী ব্যক্তি তিন কাজে সফর করিতে পারে।
পরকালের ধন সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে, কিছুটা রোজগারের তালাশে এবং বৈধভাবে আনন্দ উপভোগের জন্য।