(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
দ্বীন পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম
বিদআতের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম এবং খারাপ দিকটি হল, নিজের পক্ষ থেকে নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করা।যদি ইবাদতের মাঝে নিজের পক্ষ থেকে
নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করার অনুমতি দেয়া হতো,তাহলে দ্বীনের মাঝে পরিবর্তন পরিবর্ধন সাধিত হতো। কিছুকাল পর এ খোজও পাওয়া যাবে না যে,
মূল ইবাদাত যা রাসূল সাঃ বলেছিলেন কিংবা করে দেখিয়েছিলেন তা কি ও কি রূপ ছিল?
পূর্ববর্তী উম্মতের মাঝে দ্বীন পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম ছিল,
তারা তাদের কিতাব ও নবীর শিক্ষা দেওয়া ইবাদাতের মাঝে নিজেদের পক্ষ থেকে নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করত
এবং কিছুকাল পরে এ নব আবিষ্কৃত পদ্ধতি প্রথা হিসেবে চালু হয়ে যেত। যার কারণে কিছুদিন পর দ্বীন ও নব আবিষ্কৃত জিনিসের মাঝে কোন পার্থক্য থাকত না।
দ্বীন ও নব আবিষ্কৃত জিনিস এক হয়ে যেত, যে কারণে তারা ধর্ম থেকে দূরে সরে যেতে বাধ্য হত। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল,
যে কারনে দ্বীন থেকে দুরে সরে যাওয়া হচ্ছে
আমরা অজ্ঞতাবশত এ সমস্ত জিনিসের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করছি না।
ফজরের নামাজ ও আসরের নামাজের পরে সমস্ত ইমামগণই কিবলার দিক পরিবর্তন করে এদিক সেদিক হয়ে বসেন, কিন্তু কি কারণে এমনটি করা হলো?
কিবলা মুখ থেকে ঘুরে ইমাম সাহেব এটাই বোঝাতে চাচ্ছেন, আমি যে ঘুরে বসলাম তার কারণ হল, এখন ফরজ নামাজ পড়ার সময় শেষ হয়ে গিয়েছে।
এখন যার যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। অজিফা পাঠ করলেও করতে পারে,আবার উঠে যেতে চাইলে তা ও করতে পারবে।
কিন্তু বর্তমানে পুরো জামায়াতের এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছে, যতক্ষণ ইমাম সাহেব দোয়া না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত সমস্ত মুসল্লিগণ অপেক্ষমান হয়ে বসে থাকেন।
আবার দোয়ার মাঝেও এমন কতিপয় বিশেষ বিশেষ জিনিসেরগুরুত্ব দেওয়া হয় যদি এগুলো না করা হয়,
তাহলে মুসল্লিগণ আত্মতৃপ্তির সাথে বাড়ি ফিরতে পারে না, তাদের মনে এমন খটকা থেকে যায়,
হয়তো নামাজের কিছু অংশ বাকি রয়ে গেছে। এসব জিনিস নবী করীম সাল্লাল্লাহু এর দেওয়া শিক্ষা ও ইসলাম ধর্মের সমস্ত সতর্ক সাইরেন এর পরিপন্থী।
নামাজের পরের তাসবীহ নামাজের অংশ নয়
দোয়া ও অজিফা নামাজের সাথে এমনভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে যার ফলে প্রত্যেক দ্রষ্টা এটা মনে করতে বাধ্য যে,অজিফা ও দোয়াগুলো ও নামাজের অংশবিশেষ।
যে ইমাম সাহেব এ অজিফা ও দোয়া সমস্ত মুসল্লিদের সাথে নিয়ে না পড়বে তার নামাজ পরিপূর্ণ হয়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে বর্তমান সমাজে।
শুধু তাই নয় বরং তারা ইমামের উপর বিভিন্ন রকমের অপবাদ আরোপ করে যাচ্ছে।