MuslimBD24.com
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর সাহাবী গনকে কিভাবে সালাত পাঠ করতে হবে,
কখন কি পরিমানে সালাত পাঠ করতে হবে,তা শিখিয়েছেন। তন্মধ্যে রয়েছে
১|প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় এবং ঘুমানোর আগে।
যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় দশবার করে দরুদ পাঠ করবে, সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শাফায়াত লাভ করবে।
২|আজানের পরে
মসজিদে আজানের পরে আযানের দোয়ার আগে দুরুদ শরীফ পাঠ করতে হাদীসের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
৩|যেকোনো অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম শুনলে দরুদ পাঠ করা
ইমাম তাহাবী রহমাতুল্লাহ আলাইহি সহ অনেক আলেম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম শোনা মাত্র দরুদ পাঠকে ওয়াজিব বলেছেন। অনেকে বলেছেন মুস্তাহাব,
মোটকথা যতবারই রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম মুমিন ব্যক্তির হবে কানে আসবে,
ততবার ই মুমিনের উচিত অন্তত একবার হলেও প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দরুদ পাঠ করা।
এমনকি অনেক তাবেয়ি তো ইহাও বলেছেন যে,
নফল নামাজের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে যদি তাাঁর নাম আসে তাহলে নামাজ রত অবস্থায় ও দুরুদ পড়ে নেওয়া উচিত।
৪|শুক্রবার দিনে বেশি বেশি দুরুদ পাঠের নির্দেশনা প্রদান করেছেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
সাহাবায়ে কেরাম এর শিক্ষা অনুযায়ী যেকোনো দোয়ার আগে পরে ও মাঝখানে দরুদ পাঠ করা,
মসজিদে প্রবেশের সময় এবং বাহির হওয়ার সময় দুরুদ সালাম পাঠ করা ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশনা অনুযায়ী মুসলমানদের যেকোন মজলিসে, মাহফিলে, আসরে,
মোটকথা যেখানে একজন ও মুসলমান একত্রিত হবেন তাদের প্রত্যেকেরই উচিত মাঝে মাঝে কিছু দরুদ পাঠ করা।
অন্তত আলোচনা বা মজলিসের শেষে দু একবার আল্লাহর জিকির ও দুরুদ পাঠ না করা দুর্ভাগ্যের লক্ষণ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম লেখার সময় পরিপূর্ণভাবে দুরুদ ও সালাম লিখতে হবে।
তাবেয়ি গন এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছেন, এবং অনেক সওয়াবের আশা করেছেন।
যতবারই আমরা তার পবিত্র নাম বা উপাধি লিখব ততবারই সালাত ও সালাম পরিপূর্ণভাবে লেখা উচিত।
অনেকে কৃপণতা করে শুধুমাত্র (দ:) বা (সা:) লিখেন।
সাহাবায়ে কেরাম থেকে নিয়ে পরবর্তী কোন আলেম ই কখনোই সালাত ও সালাম সংক্ষেপে ইশারা করে লিখেন নি।
সবসময় ই তাঁরা “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” পুরোপুরি লিখেছেন।
এমনকি মোহাদ্দিসগণ হাদিস লেখার সময় প্রতি পৃষ্ঠায় অগণিত বার তাঁর নাম বা উপাধি লিখেছেন,
এবং প্রতিবারই সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরোটিই লিখেছেন।
যদি কেউ সালাত ও সালাম স্পষ্ট করে লিখেন, আশা করা যায়
যতক্ষণ তার লেখাটি থাকবে ততক্ষণ তিনিও সালাত ও সালাম এর সওয়াব পাবেন।
অপরদিকে (দ:) /(সা:) লিখে বা আরবিতে(صلعم/ص) লিখে, পাঠককে দরুদ পড়তে ইশারা করা হয় মাত্র।
লেখক এর জন্য সালাত ও সালাম লেখার সওয়াব প্রাপ্য হয় না,
ঐ সকল ইশারা কৃপণতা ও বেয়াদবি বলেই মনে হয় (নাউজুবিল্লাহ)
ইমাম সাখাবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এদেরকে অলস ও জাহেল বলেছেন।
আল্লাহ আমাদের বুঝার তাওফিক দান করুন আমীন।
- তথ্য সুত্রঃ এহইয়াউস সুনান, লেখক: ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ।