আলহামদুলিল্লাহ! বর্তমানে দেখা যায় অনেক মানুষ অসহায়, এতিম, মিসকিন, গরিব ও বিধবাদেরকে দান করে। এটা অত্যন্ত ভাল কাজ। এই ভালো
কাজের ব্যাপারে উৎসাহ দিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন:- যে ব্যক্তি বিধবা ও মিসকিনদের দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করবে সে
ঐ ব্যক্তির মতো, যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদরত কিংবা ঐ ব্যক্তির মতো যে সারা রাত নফল নামাজ পড়ে আর সারা দিন নফল রোযা রাখে। (বুখারী
৫৩৫৩) আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন যারা এই এতিম অসহায়দের পাশে দাঁড়াচ্ছে, তাদেরকে দান করছে তারাই ৫০০/১০০০৳ বা এরকম আরো কিছু
বেশি টাকা দান করেছেন। তবে এই এতিম, মিসকিন ও বিধবাদের দান করা বা দায়িত্ব দুই ভাবে গ্রহণ করলে আরও বেশী ফায়দাজনক হবে আশা করা
যায়। (এক) নিয়ম তান্ত্রিকভাবে তাদের খরচাপাতি চালিয়ে যাওয়া। উদাহরণ স্বরূপ প্রত্যেক সপ্তাহে তাদেরকে কিছু কিছু খরচ করে দেওয়া অথবা ১৫
দিনের জন্য খরচ করে দেওয়া যেন এই দিন সমূহের ভিতরে অন্য কারো কাছে গিয়ে তাদেরকে হাত পাততে না হয়। (দুই) তারা নিজে নিজেই যেন
প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এরকম কোন ব্যবস্থা করে দেওয়া। যেভাবেই হোক এই দায়িত্ব গ্রহণ করলে তার ফজিলত হলো আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার মত
অথবা সারারাত নফল নামাজ পড়া আর দিনে রোজা রাখার মতো। সুবহানাল্লাহ আল্লাহ আমাদের বিষয়টি ভালোভাবে বুঝার তাওফিক দান করুন। আমিন
আরও পড়ুন:-
যে মুসলিম কীর্তির কথা আজ কেউ স্মরণ করে না, হিজরতের সময় নবীজি স. যে সকল রাস্তা ব্যবহার করেছিলেন, কৃত্রিম চুল ব্যবহারের শরয়ী বিধান