সবচেয়ে বড় ইবাদতকারী হওয়ার পদ্ধতি

(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:-

 

গুনাহের কাজ থেকে তথা খারাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকবে; তাহলে তুমি সবচেয়ে বড় ইবাদতকারী হবে।

(হাদীস) আল্লাহ পাক আমাদের দুই ধরনের দায়িত্ব দিয়েছেন।

কিছু হল করার দায়িত্ব আর কিছু হলো না করার দায়িত্ব। যেগুলো সওয়াবের কাজ সেগুলো

করার দায়িত্ব আর যেগুলো গুনাহের কাজ সেগুলো না করার দায়িত্ব

অর্থাৎ সেগুলো থেকে বিরত থাকার দায়িত্ব। এর মধ্যে দ্বিতীয় প্রকার দায়িত্বের

ব্যাপারে জোর দেয়া হয়েছে বেশি অর্থাৎ গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকার উপরে জোর বেশি দেয়া হয়েছে।

মুহাদ্দিসিনে কেরাম এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন যে,

হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করার কাজের উপরে গুরুত্ব না দিয়ে না করার কাজ

থেকে বিরত থাকার উপরে অর্থাৎ গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকার উপর জোর দিয়েছেন

এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি কারণ

হলো, আমরা সাধারণত মনে করি করার কাজটাই হলো ইবাদত!

গুনাহ থেকে বিরত থাকা যে ইবাদত তা আমরা মনে করি না। যেমন নামাজ পড়া, রোজা

রাখা, হজ করা, যাকাত দেয়া, নফল ইবাদত বন্দেগি করা,

জিকির-আযকার করা এগুলোকে আমরা ইবাদত মনে করি। কিন্তু আমাদের জীবনে প্রতিটা

পদে পদে অহরহ অসংখ্য গুনাহ হয়ে যাচ্ছে অথচ আমি একজন ইবাদতকারী হিসেবে

সেই সব গুনাহ থেকে বিরত থাকা যে আমার দায়িত্ব তা আমি মনে করছি না।

 

তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দিকটার প্রতি জোর দিয়ে বলেছেন

গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকো তাহলে তুমি সবচেয়ে বড় ইবাদতকারী হতে পারবে।

 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা দ্বারা দুটো বিষয় বুঝিয়েছেন

 

এক হলো গুনাহ থেকে বিরত থাকা, যা হলো ইবাদত। দুই হলো গুনাহ থেকে

বিরত থাকা, যা বড় ইবাদতকারী হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

 

বুঝা গেল গুনাহ থেকে বিরত থাকার প্রতি জোর দেওয়া চাই। তাই আসুন আমরা

গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার প্রতি গুরুত্বারোপ করি। নিজে বেঁচে থাকি এবং অন্যকে বাঁচিয়ে রাখি।

আল্লাহ আমাদের বুঝার এবং মানার তাওফিক দান করুন। আমিন

আরও পড়ুন:-

প্লেন ট্রেন ও বাসে কিবলামুখী হওয়া / নামাজ আদায়ের পদ্ধতি,

বিকাশ একাউন্ট খুলতে মহিলাদের ছবি দেওয়া জায়েজ হবে?