(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
পাশ্চাত্য সভ্যতার অন্ধ অনুসরণ ও তার দ্বারা প্রভাবান্বিত হওয়ার ফলে মুসলমানদের মধ্যে শোক পালনের এমন কিছু পদ্ধতি চালু হয়েছে যা ইসলাম বহির্ভূত।
উদাহরণত: দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করা,জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা, কালো ব্যাজ ধারণ করা, সাইরেনের করুন সুরে বিলাপ বা বাজনা বাজানো,
শোক প্রকাশের এই সকল পদ্ধতি নাজায়েজ তথা হারাম। স্বভাবগতভাবে অনিচ্ছায় যে অশ্রু বের হয় শুধুমাত্র এটারই অনুমতি আছে।
(সুত্র:বুখারি- মুসলিম আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর এর সূত্রে, ১ম খন্ড১২৭পৃ:باب قول النبي صلى الله عليه وسلم”انا بك لمحزون”
ইসলাম পূর্ব যুগেও কিছু পদ্ধতি প্রচলিত ছিল।উদাহরণত: বিলাপ ও রোনাজারী করা, বস্ত্র বা কাপড় ছিড়ে ফেলা,
নির্দিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত কেঁদে কেঁদে শোক প্রকাশ করা। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেগুলো থেকে নিষেধ করেছেন।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন যে মাথার চুল মুন্ডন করে ফেলে,
চিৎকার করে ক্রন্দন করে, এবং কাপড় ছিড়ে ফেলে, আমি তার থেকে সম্পূর্ণ দায়মুক্ত। সুত্র: বুখারী – মুসলিম باب ماينهي من الحلق لمن المصيبه
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বামী ব্যতীত অন্য কারো জন্য তিন দিনের অতিরিক্ত শোক পালনের অনুমতি দেননি।
শুধুমাত্র স্ত্রীকে চার মাস দশ দিন স্বামীর জন্য শোক পালন করার অনুমতি দিয়েছেন।
ইসলামী আইনবিদগণ এই উদ্দেশ্যে কালো কাপড় পরিধান করতে নিষেধ করেছেন।
ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া পঞ্চম খন্ডের ৩৩৩ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে-
“মৃত ব্যক্তির উপর মাতম করার জন্য পোশাক কালো রঙে রঙিন করা জায়েজ নেই।
অনুরূপভাবে মৃতের গৃহের কাপড় কালো রঙে রঙিন করাও জায়েজ নেই”।
এর ধারা প্রতীয়মান হয় যে এ জাতীয় প্রথাগত বিলাপ মাতমের কোন স্থান ইসলামে নেই।