(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)

ট্রেন নির্মাণগতভাবেই এ ধরনের যে-
তাতে কিবলামুখী হওয়া সম্ভব। তবে যদি নামাজের মধ্যে ট্রেন ঘুরে যায় তাহলে কিবলা ঠিক করে নেয়া সম্ভব।
এজন্য ট্রেনে ফরজ নামাজ শুরু করার প্রাক্কালে এবং নামাজের মধ্যবর্তী সময়েও কেবলামুখী হওয়া জরুরী।
যদি কিবলামুখী হয়ে নামাজ আরম্ভ করে থাকে আর নামাজের মাঝখানে ট্রেন বা বাস দিক পরিবর্তন করে ফেলে
তবে নিজের দিক ও পরিবর্তন করে নিতে হবে। অবশ্যই যদি এতই ভিড় হয় যে ঘুরে যাওয়া সম্ভব নয়
এবং রেল থেকে বের হয়ে নামাজ আদায় করে নেওয়ার ও সুযোগ নেই তবে যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায়ই নামাজ পড়ে নিতে পারে।
সুত্র: ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ খন্ড ২ পৃষ্ঠা ১৪৬
বাস এভাবে তৈরি করা হয় যে-
তা যদি কিবলামুখী হয়ে না চলে তাহলে কেবলামুখী হওয়া সম্ভব নয়।
এমতাবস্থায় যদি বাস থেমে থাকে তবে নিচে নেমে নামাজ পড়া ওয়াজিব। আর যদি তা চলমান থাকে
কিন্তু আরোহী ব্যক্তি তা থামাতে সক্ষম, তখনও নেমে কিবলামুখী হয়ে নামাজ আদায় করতে হবে।
আর যদি থামাতে সক্ষম না হয় তবে কিবলামুখী হওয়া ব্যতীত নামাজ আদায় করা যেতে পারে।
প্লেনে নামাজ আদায়: জমিনের ন্যায় উড়োজাহাজে ও নামাজ আদায় করা যায়।
এখন যদি এই প্রশ্ন কেউ করে যে- সিজদা তো বলা হয় জমিনের উপর কপাল রাখাকে,
আর উড়োজাহাজ তো আকাশে থাকে সেখানে তো জমিন পাওয়া যায় না?
এর উত্তর হলো এই যে:
এ জাতীয় বক্তব্য বস্তুত শরীয়তের মূল তথ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
কেননা যেহেতু সাধারণভাবে জমিনের উপরেই কপাল রাখা হয়,
সেহেতু ইসলামী আইনবিদগণ জমিন শব্দ ব্যবহার করেছেন
এটা ঠিক এরকম যেমন কোন ব্যক্তি বলল ‘ভূপৃষ্ঠে ইসলামের চেয়ে উত্তম কোন ধর্ম নেই’
এ কথা থেকে কি এটা বুঝা যায় যে চাঁদের উপর ইসলামের চেয়ে উত্তম কোন ধর্ম আছে? মোটেও নয়।
তো বুঝতে হবে শরীয়তের আসল উদ্দেশ্য হল
এমন কোন বস্তু হওয়া যার উপর মানুষ কপাল রাখতে পারে,যেমন ভাবে জমিনে রাখা যায়।
এর উপর ভিত্তি করেই উড়োজাহাজে নামাজ পড়া জায়েজ করা হয়েছে যেমন জমিনে নামাজ পড়া জায়েজ।
MuslimBD24.Com Islamic blog site Bangladesh

