পাখি দিয়ে ভাগ্য নির্ণয় করা। এটি একটি কুসংস্কার।ইমান বিধ্বংসী আকিদা।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই কুসংস্কার দূর করার জন্য বলেন:-
পাখি দিয়ে ভাগ্য নির্ণয়ের ধারণা ঠিক নয়।
সেই যুগের মানুষ পাখি ছেড়ে (উড়িয়ে) দিয়ে ভাগ্য নির্ণয় করত।
যেকোনো কাজ করার শুরুতে একটি পাখি ছেড়ে দিত।
পাখিটি যদি ডান দিকে উড়ে যেত তাহলে তারা মনে করত এটি ভালো লক্ষণ।
তখন তারা সেই কাজ করতো। আর যদি পাখিটি বাম
দিকে উড়ে যেত তাহলে তারা মনে করত এটি খারাপ লক্ষণ।
তখন তারা সে কাজ করত না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:-
এই ধারণা ঠিক নয়। একটা পাখি ডান দিকে বা বাম দিকে উড়ে গেল ;
তার সাথে ভালো মন্দের কি সম্পর্ক জানে না।
সে লোকটার সেই কাজ মঙ্গল হবে না অমঙ্গল হবে কি করে জানবে!
এই যুগেও পাখি দিয়ে ভাগ্য নির্ণয় করা যায় বলে কিছু লোকের বিশ্বাস রয়েছে।
দেখা যায় রাস্তার পাশে একজন কয়েকটি টিয়া পাখি নিয়ে বসে আছে।
কেউ নিজের ভাগ্য জানতে চাইলে
নির্দেশিত ফি দিলে টিয়া পাখির মালিক পাখিটিকে খামের উপর ছেড়ে দেয়।
তখন পাখিটা কোন একটা খাম ঠোট দিয়ে তুলে আনে।
সেই খামের মধ্যে যা লেখা আছে সেটাই নাকি ওই লোকের ভাগ্য! নাউজুবিল্লাহ!! টিয়া পাখি
মানুষের ভাগ্য সম্পর্কে কোত্থেকে জানতে পেল!
লক্ষ কোটি মানুষের লক্ষ কোটি রকমের ভাগ্য;
ওই সীমাবদ্ধ কয়েকটি খামের ভিতরে লক্ষ
কোটি মানুষের ভাগ্যের বর্ণনা কি করে আসতে পারে।
এটা ঈমান বিরোধী ধারণা। এটা ঈমান বিরোধী কুসংস্কার।
টিয়া পাখি গায়েব জানে না!
কোন পাখিই গায়েব জানে না। কোনো কোনো গ্রাম দেখা যায়,
হলুদ রঙের এক ধরনের পাখি আছে।
অনেক এলাকায় সেটাকে বলা হয় কুটুম পাখি।
যখন সেই পাখি বাড়ির উপর দিয়ে ডাক দিয়ে যায় তখন অনেকে বলে
আজ কুটুম বা আত্মীয়-স্বজন বেড়াতে আসবে। কুটুম পাখি কি গায়েব জানে?
আমি নিজে বহুবার পরীক্ষামূলকভাবে লক্ষ্য করেছি
সেই পাখি বাড়ির উপর দিয়ে ডেকে উড়ে যাবার পরও কোন অতিথি বেড়াতে আসেনি।
সিলেট বিভাগের কোনো কোনো গ্রামে সাপ নিয়ে সাপুড়ে আসে।
তখন মানুষ ৳৫/১০ টাকা দিয়ে নিজের ভাগ্য গণনা করে।
টাকা হাতে রাখার পর যদি সাপ তার
হাতে আসে তাহলে বুঝা যায় তার ভাগ্য ভালো।
অন্যথায় তার ভাগ্য মন্দ। এটিও একটি কুসংস্কার।
ইমান বিধ্বংসী আকিদা। সাপুড়ের টাকা
রোজগারের ধান্দা। ইহা থেকেও আমাদের বেচেঁ থাকতে হবে।
ইমান আমল বাচাঁতে হবে। আল্লাহ আমাদের বুঝার তাওফিক দান করুন।
আরও পড়ুন:-
যে সকল কারণে নামাজ ছেড়ে দেয়া ওয়াজিব এবং যে সকল কারণে জায়েজ,