(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
কখনো এই স্বপ্ন আনন্দদায়ক হয় আবার কখনো বেদনার।
মানুষকে এই স্বপ্ন দেখতে হলে ঘুমাতে হয়। বেশিরভাগ মানুষ
অর্থহীন স্বপ্নই দেখে। যার কোনো মানে হয় না।
সারা দিন মানুষ যে চিন্তা বা কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে রাতের বেলা তাই সে স্বপ্নে দেখে। একটা বয়স আছে যখন
মানুষ কমন কিছু স্বপ্ন দেখে।
যেমন কখনো স্বপ্ন দেখে যে, সে উপর থেকে নিচে পরে যাচ্ছে।
তার ব্যাখ্যা হলো যখন কেউ নিঃসঙ্গতা অনুভব করে
তখন সে এই জাতীয় স্বপ্ন দেখে। তবে নবী-রাসুলের স্বপ্ন ভিন্ন। কারণ তাদের স্বপ্নও ওহি।
তারা যা দেখেন তা সূর্যের মতো সত্য। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তবে আমরা সাধারণ মানুষ যে সব স্বপ্ন দেখি
তার ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন তোমাদের কেউ যখন খারাপ স্বপ্ন
দেখে তখন সে যেন বাঁ দিকে তিনবার থুতু ফেলবে
এবং আল্লাহর কাছে তিনবার শয়তান থেকে পানাহ চাইবে।
আর যে পাশে শয়ন করা ছিলে সেই পাশ
ফিরে অন্য পাশে শয়ন করবে।
এই হাদীসে খারাপ স্বপ্ন দেখলে তিনটি কাজ করতে বলা হয়েছে। যথা:-
(১) তিনবার বা দিকে থুথু
ফেলা।
(২) আল্লাহর কাছে তিনবার শয়তান থেকে পানাহ চাইবে। যেমন এভাবে বলতে পারো যে,
আমি আল্লাহর কাছে শয়তানের অনিষ্ট হতে এবং এইস্বপ্নের অনিষ্ট হতে পানাহ চাই।
(৩) যে পাশে শয়ন করা ছিল সেই পাশ পরিবর্তন করে অন্য পাশে শয়ন করবে।
যেকোনো খারাপ স্বপ্ন দেখার পর এই তিনটি
কাজ করলে ইনশাল্লাহ ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে।
তাছাড়া অনেক সময় কোনো স্বপ্নকে খারাপ মনে হলেও আসলে তা খারাপ নাও হতে পারে।
তাই কোনো স্বপ্নকে খারাপ মনে হলেই পেরেশান হতে নেই।
পেরেশান হয়ে অযথা নিজের ক্ষতি করে কি লাভ!
কারণ, হতে পারে সেটা আসলে খারাপ নয়।
আরও পড়ুন:-
ফিজিক্যাল রিলিশন একটা মারাত্মক ভুল পদক্ষেপ, মেয়েদের কাপড় শুকানোর ক্ষেত্রে যে সর্তকতা অবলম্বন করবেন, বেশী বেশী হাসতে মানা, বিকাশ একাউন্ট খুলতে মহিলাদের ছবি দেওয়া জায়েজ হবে?