(মুসলিমবিডি২৪ডট কম)
ক.
আপনি নিজের দুয়াতে যতো বেশি নবী ﷺ-এর ওপর দুরুদ পাঠ করবেন আপনার দুয়া ততো দ্রুত কবুল হবে। তবে এই পাঠ হতে হবে অন্তর থেকে, জেনে-বুঝে এবং পরিপূর্ণ আনুগত্যের মেজাজে।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ﷺ
খ.
আপনি একবার একনিষ্ঠতার সাথে আল্লাহর রাসূল ﷺ ওপর দুরুদ পাঠ করলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা দশবার আপনার ওপর (অপরিমিত) রহমত বর্ষণ করবেন। আল্লাহ যখন বান্দাকে কোনো সওয়াব দেন তখন তাতে তিনি কোনো পরিমাণে আবদ্ধ রাখেন না। যতো খুশি ততো দেন। পাপের বেলায় খুব হিসাব করে পাপ লেখার অনুমতি দেন। এক জাররা পরিমাণ বেশি লেখার অনুমতি নেই।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ﷺ
গ.
একবার দুরুদ পাঠ করলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা দুরুদ পাঠকারীর দশটি গুনাহ মাফ করেন। মর্যাদার দশটি মরতবা বাড়িয়ে দেন।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ﷺ
ঘ.
কিয়ামতের দিন রাসূল ﷺ-এর শাফায়াত পাওয়ার যোগ্য হিসেবে সেই অধিকতর বিবেচিত হবেন যিনি অতিমাত্রায় পূর্ণ আনুগত্যের নিয়তে আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর ওপর দুরুদ পাঠ করবেন।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ﷺ
ঙ.
যিনি নবী ﷺ-এর ওপর বেশিবেশি দুরুদ পাঠ করবেন আল্লাহর তাঁর জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবেন।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ﷺ
চ.
যিনি আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর ওপর দুরুদ পাঠ করবেন তাঁর জন্য নিষ্পাপ ফেরেশতারা দুয়া করতে থাকবে।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ﷺ
ছ.
অধিক দুরুদ পাঠকারী ব্যক্তি গুনাহ থেকে বাঁচার সুযোগ পান এবং আল্লাহর নির্দেশ পালনে নিজেকে সঁপে দিতে সক্ষম হন।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ﷺ
জ.
অধিক দুরুদ পাঠকারী ব্যক্তি সম্পদের কৃপণতা এবং অন্তরের অনুদারতা থেকে মুক্তি পান। আল্লাহর নৈকট্য, সার্বিক বারাকাহ এবং আত্মিক সুকুন পেয়ে ধন্য হওয়ার তাওফিক পান।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ﷺ
ঝ.
ইলাহী কারীমের দিকে কলব, নফস এবং রুহের যে দরজা রয়েছে সেগুলো টপাটপ খুলে যায় নবী ﷺ-এর ওপর অধিক পরিমাণে দুরুদ পাঠ করলে।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ﷺ
এরপরও কী দুরুদ পাঠে অমনোযোগী থাকবেন?
আরো পড়ুন
রাসূল সা: কে অনুসরণ করার সঠিক পদ্ধতি
রাসূলের অনুগত্যে সাহাবীগণ (রাযি.)