(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
ফিদিয়া অর্থ ক্ষতিপূরণ। রোজা রাখতে না পারলে বা কাজা আদায় করতে না পারলে যে ক্ষতিপূরণ দিতে হয় তাকে ফিদিয়া বলে। অতি
বৃদ্ধ-বৃদ্ধা রোজা রাখতে না পারলে অথবা কোনো ধ্বংসকারী বা দীর্ঘমেয়াদি রোগ হলে এবং সুস্থ হওয়ার কোনো আশা না থাকলে; আর
রোজা রাখায় ক্ষতি হওয়ার ভয় থাকলে এমন লোকের জন্য প্রত্যেক রোজার পরিবর্তে একটি করে ফিদিয়া আদায় করার অনুমতি
আছে। তবে এরূপ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা পুনরায় কখনো রোজা রাখার শক্তি পেলে তাদেরকে কাযা আদায় করতে হবে এবং যে ফিদিয়া প্রদান করেছিল তার সাওয়াব পৃথকভাবে সে পাবে।
যার জিম্মায় কাজা রোজা রয়েছে জীবদ্দশায় আদায় হয়নি; মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশগণ তার রোজার ফিদিয়া আদায় করবে। মৃত
ব্যক্তি অসিয়ত করে গিয়ে থাকলে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে নিয়ম অনুযায়ী আদায় করা হবে। আর অসিয়ত না করে থাকলেও যদি
ওয়ারিসগণ নিজেদের মাল থেকে ফিদিয়া আদায় করে দেয় তবুও আশা করা যায় আল্লাহ তা কবুল করবেন এবং মৃত ব্যক্তিকে ক্ষমা করবেন।
রোজার ফিদিয়ার পরিমাণ: প্রতি রোজার পরিবর্তে সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ পণ্য বা তার মূল্য দান করাই হল এক রোজার ফিদিয়া। (ফিকহুন নিসা ২১৪)
০৭/০৪/২০২২ ঈসায়ী অনুযায়ী সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ:
আটা দ্বারা আদায় করলে ১কেজি ৬৩৫গ্রাম বা ৭৫/= টাকা
যব দ্বারা আদায় করলে ৩কেজি ২৭০গ্রাম বা ১০৫/=টাকা
ভুট্রা দ্বারা আদায় করলে ৩কেজি ২৭০গ্রাম বা ২৩০/=টাকা
খেজুর দ্বারা আদায় করলে ৩কেজি ২৭০গ্রাম বা ৯৮৫/=টাকা
কিসমিস দ্বারা আদায় করলে ৩কেজি ২৭০গ্রাম বা ২,১৪৫/=টাকা
পনির দ্বারা আদায় করলে ৩কেজি ২৭০গ্রাম বা ২২০০/=টাকা