MuslimBD24.com
গর্ভাস্হায় স্ত্রীর যত্ন কিভাবে নিবেন?
এই সময় নারীর সেক্স হরমোন বিশেষ করে ইস্ট্রোজেন,
করে কোন কিছুর ব্যাপক পরিবর্তন হলে তার প্রভাব শরীরে ও মনে পরবে এটাই স্বাভাবিক!
এই সময় নারীর মুড সুইং করে, অনেক বেশি আবেগি হয়ে পরে,মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, যা সাধারণ বিষয়ে রেগে যাওয়া,
হুটহাট কোন কিছুর আবদার করা,কোন কিছু খেতে ইচ্ছে করা এগুলো কমন বিষয়।
অনেক স্বামীর কাছে বিষয়টি ছেলে মানুষি বা পাগলামি মনে হতে পারে তবে এটা নারীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে এমনটি হয়।
এই সময় নারীর পাশে আপনজনের দেখাশুনা, ভালোবাসার মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া দরকার।
স্বামী একটু বিশেষ নজর দিলে স্ত্রীর মন কিছুটা হলেও হালকা হয়,সাহস পায়,
এই সময় মনে নানা ধরনের ভয়, আশংকা দেখা দেয় সেগুলো কে কাটিয়ে উঠা জরুরি।
যতোবেশি কাছের মানুষের সাপোর্ট পাবে ততো বেশি নারী উৎফুলো থাকবে এই প্রভাব আগত সন্তানের মধ্যে দেখা যাবে।
মা ভালো থাকলে সন্তান ও ভালো থাকবে। সেজন্য যত্নের কোন কমতি না করা!
এবার আসুন কি কি খেতে দিবেন
বিশেষ করে গর্ভাস্হার আগে ও পরে ফলিসন জাতীয় ভিটামিন খুবই উপকারি।
সুষম খাবার মা ও সন্তান কে সুস্থ সবল করে তুলবে যেমন ডিম, দুধ,গোশত,ছোট মাছ,দেশি কচি মোরগ,
ছোট বা গুড়া মাছ,পেয়ারা,কাচ কলা,কচু শাক,পায়খানা কষা হলে সবরি কলা, ইসবগুলের ভূষি খেতে হবে।
খাবারের পরিমান যেন খুব কম না হয় তাহলে সন্তানের ওজন কমে যাবে পরবর্তীতে সন্তান বিভিন্ন ধরনের অসুখে ভূগবে বারবার হসপিটালে দৌড়াতে হবে বিশেষ জ্বর, কাশি,নিউমোনিয়া খুবই কমন।
সময়মতো গোসল করুন,শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
কোথায় কিভাবে ডেলিভারি করাবেন সব ঠিক করে রাখুন এবং কিছুটাকা জমিয়ে রাখা যেতে পারে।
আল্লাহর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখুন, নেককার সন্তানের জন্য প্রানখুলে দোআ করুন।
অতিরিক্ত খাবার নারীর জন্য বিপদজনক অতিরিক্ত ওজন হলে নরমাল ডেলিভারিতে জটিলতা দেখা যায়।
যাদের খাবার দেখলে বমি বা গন্ধ লাগে তারা বমির ঔষধ সেবন করতে পারেন অথবা একটু একটু করে বারবার খাবেন।
বমির ভয়ে খাবার বন্ধ করবেন না, দয়াকরে সন্তানের কথা ভাবুন।
অতিরিক্ত ওজন বহন করা যেমন নিষেধ ঠিক তেমনি অলস সময় কাটানো আরও বেশি ক্ষতিকর! শরীরের সহনীয় মাত্রায় কাজ করতে হবে।
নিয়মিত চেকআপ করার দরকার বিশেষ করে মিনিমাম ৩ টা আল্ট্রা,রক্তের গ্রুপিং,ডায়াবেটিস, ওজন ইত্যাদি।
গর্ভাস্হায় মিলন খুবই সতর্কতার সাথে করতে হবে প্রথম তিন মাস খুবই ঝুঁকি রয়েছে তারপরের মাস মোটামুটি নিরাপদ,
শেষের তিনমাসেও একটু ঝুঁকি রয়েছে। চেষ্টা করতে হবে না করার জন্য তবে করলেও শতভাগ সতর্কতা অবলম্বন করুন।
পরিমানমতো ঘুম দিবেন অতিরিক্ত ঘুম শরীরের জন্য, বাচ্চার জন্যও খারাপ।
বিশেষ সময়ে সঠিক ফলাফল পেতে জানতে হবে ফোরপ্লে কাকে বলে
ইবাদত বন্দেগিতে মনোযোগ দিন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন এবং সূরা ইয়াসিন বেশি করে তিলাওয়াত করুন সম্ভব হলে খতম করুন,
বিয়ের জন্য কিভাবে পাত্রী যাচাই করবেন
বেশি বেশি নেক সন্তানের জন্য দোআ করুন, দান সদকা খুবই উপকারি।