আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ সা. ছিলেন উম্মতের জন্য রহমত স্বরূপ। নবীজির প্রতিটি কাজ, কথা সবই ছিল আমাদের জন্য
রহমত। এমনকি নবীজির নাম এর মধ্যেও উম্মতের জন্য অভাবনীয় সঞ্জীবনী শক্তি ছিল।এক সময়ের ঘটনা। ইবনে ওমর রা. বসে
আছেন। তিনি লক্ষ করলেন তার একটি পা যেন অবশ হয়ে আসছে। কোনো মতেই সোজা করতে পারছেন না। তখন অন্য এক সাহাবী
পরামর্শ দিলেন তোমার প্রিয়তমের নাম ধরে ডাকো! পা সোজা হয় যাবে। চকিত হলেন ইবনে উমর রা.। চিৎকার করে উঠলেন ইয়া
মুহাম্মাদ সা. বলে। তখনই পা ঠিক হয়ে গেল। এ তো ভক্তির ব্যাপার। এ নামের ধ্বনি হৃদয়ে শক্তি জোগায়। কিন্ত তার হাতের পরশে
যে ব্যাধি বিদায় নেয় সেটাই অলৌকিক। হযরত মুয়াবিয়া ইবনে হাকাম রা. বর্ণনা করেন। একবার আমরা নবীজির সা. সাথে ছিলাম।
আমার ভাই আলি ইবনুল হাকাম ঘোড়া দৌড়াচ্ছে। সামনে একটি গর্ত ছিল। অপর দিকে তার ঘোড়াটি ছিল তেজী। ঘোড়ায় চড়ে এই
গর্তটি পার হওয়ার মানসে দ্রুত চুটছিল আমার ভাইটি। কিন্ত দুর্ভাগ্য তার ঘোড়া ঠিক মতো গর্তটি পার করতে পারেনি। তাই সে
ছিটকে পড়লো দেয়ালে। ভেঙে গেল তার পায়ের গোছা। আমরা তাকে ধরাধরি করে নিয়ে এলাম নবীজির দরবারে। নবীজি তাঁর
মখমল-কোমল হাত বুলিয়ে দিলেন আহত পায়ের উপর। কিন্ত একি! হাত ফেরাতে দেরি পা একেবারে সুস্থ! যেন পায় কোন আচড়ও
লাগেনি।তখন নবীজির প্রতি অগাধ আবেগ-বিশ্বাসে আপ্লুত হয়ে উঠলো আমাদের হৃদয় ও আত্মা। ইহা ছিল নবীর হাতের পরশ
আরও পড়ুন:
সাহাবায়ে কেরামের উদারতা
বাংলাদেশে আগমনকারী সাহাবীগন
সাহাবায়ে কিরাম (রাযি.) কর্তৃক মুক্ত করা দাস-দাসীর সংখ্যা