রাসুল সা. বলেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা শাবানের ১৫ তারিখ রাতে প্রথম আকাশে আগমন করেন এবং কালব গোত্রের পালিত
ছাগলের শরীরের পশমের চেয়েও অধিক সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করেন।(তিরমিযি শরিফ) তবে এই বিরাট ফজিলতপূর্ণ রাত্রিতেও
আল্লাহ তাআলা কিছু মানুষকে ক্ষমা করবেন না। তারা হলো:
১/ আল্লাহ তাআলার সত্তার সাথে কাউকে শরিক করা। অর্থাৎ আল্লাহর অষ্তীত্ব স্বীকার করার সাথে সাথে মূর্তি, গাভী, সাপ ইত্যাদির
পূজা করা। অথবা আল্লাহ তাআলার সাথে সাথে অন্যকেও আলিমুল গায়েব বা অদৃশ্যের খবর সম্পর্কে জ্ঞাত মনে করা। অন্য কাউকে
সকর ক্ষমতার অধিকারি মনে করা।২/ কোনো মুসলমান ভাইয়ের সাথে বিদ্বেষপোষণ করা।৩/ আত্মীয়স্বজন বা অনাত্মীদের হক
আদায় না করা। তাদের সাথে অসদাচরণ করা।৪/ পায়জামা লঙ্গি ইত্যাদি কাপড় চোপড় টাখনুর নিচে পরিধান করা।৫/ মাথা-
পিতার নাফরমানি করা। ৬/ মদ পান করা। ৭/ চাঁদাবাজি করা। ৮/ ঘুষ নেওয়া। ৯/ জাদু করা। ১০/ গায়েব বা অদৃশ্যের খবর
জানার দাবি করে বিভিন্ন সংবাদ বলা। ১১/ হাতের রেখা দেখে তাকদির বলা, ফলনামা দিয়ে কাজ করা। ১২/ ঢোল, হারমোনিয়াম
ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র বাজানো। ১৩/ স্বামীর অবাধ্যতা করা। ১৪/ জুয়া বা পাশা খেলা। ১৫/ উস্তাদ অসুন্তষ্ট হয় এমন কাজ করা। ১৬/
ফরজ হক আদায়ের ক্ষেত্রে কৃপনতা করা। যেমন, সামর্থ থাকা সত্বেও স্ত্রীর ভরণ-পোষণে কৃপণতা করা। ১৭/ নামাজ আদায় না করা।
১৮/ যাকাত না দেওয়া। ১৯/ খুব বেশী লোভী হওয়া। সম্পদের প্রাচুর্য সত্বেও সন্তষ্ট না হওয়া। ২০/ গিবত, পরনিন্দা করা। ২১/ ব্যভিচার করা। (শবে বরাত শবে কদর ফাজায়েল ও মাসায়েল)
আরও পড়ুন:
হাদিসের আলোকে শবে বরাতের গুরুত্ব, ফজিলত ও আমল
শবে বরাত ও এরাত্রির ইবাদতের ফজিলত সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিতঃনঙ্গে আসলাফ আফজল
বৈরাগ্যতা বনাম ইসলাম