(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
হযরত মুফতি শফি রহ. বলেন, আমি আমার নিজের সময়গুলোকে মেপে মেপে খরচ করে কাজে লাগিয়ে থাকি।
যাতে করে আমার একবিন্দু পরিমাণ সময়ও বেকার না যায়। চাই সময়টি দুনিয়ার কাজে হোক অথবা
আখেরাতের কাজে। যদি দুনিয়ার কাজে সময়টি সহিহ নিয়তে হয় তাহলে ঐ সময়টিও আখেরাতের জন্য কাজে
লাগবে। আমি নসিহত করে বলে থাকি, আমার কথাটি লজ্জার কোনো কথা না। তবে আমি তোমাদের বুঝার জন্য
বলছি। মানুষ যখন টয়লেটে যায় তখন ঐ সময়টি হচ্ছে এমন যে, তখন তারা কোনো প্রকার যিকির করে না।
কিন্ত আমার তবিয়তটি এমন হয়েছিল যে, টয়লেটে বেকার থাকতে হয় আর ঐ সময়টি আমার জন্য খুব ভারি। ঐ
সময় তো কোনো কাজ হয় না। তাই ঐ সময় আমি বসে বসে বদনা পরিষ্কার করি। আমি মনে করি আমার
টয়লেটে থাকার সময়টিও যেন কাজে লাগে, বেকার না যায়। তাছাড়া দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি যখন বদনাটি
ব্যবহার করবে তখন তার যেন ঘৃণা না লাগে। হযরত বলেন: আমি পূর্ব থেকে এতটুকু মনে করি যে, আমার
এখানে পাঁচ মিনিট সময় লাগবে আর এই পাঁচ মিনিট সময়টা কোন কাজে লাগাব।
খানা খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে কোনো প্রকার কাজ, পড়া-লেখা করা মোনাসিব নয়। বরং খাবারের পর কমপক্ষে
দশ মিনিট রেষ্ট নেওয়া উচিৎ। তখন আমি প্রথম থেকেই ভেবে নিতাম এই সময় আমি এই বিষয়টি আঞ্জাম দিব।
আল্লামা তাকি উসমানি দা. বা. বলেন: যে হযরতই আমার আব্বাজানের সাথে সাক্ষাতে আসতেন তিনিই
দেখেছেন; আমার আব্বাজান কাজের মধ্যে সফরও করেছেন। লিখনির কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি দেখতাম
রিক্সায় যাচ্ছেন আবার হাতের লেখাও চালিয়ে যাচ্ছেন। রিক্সার ঝাকুনির মধ্যেও অনেক কিছু লিখে যাচ্ছেন। তিনি
গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বর্ণনা করেছেন যা খুব মনে রাখার বিষয়। তিনি বলেন: যেই কাজটি তোমরা পরশু করবে
বলে রেখে দিয়েছ। সেই কাজটি রয়ে গেল। কাজটি আর হবে না। কাজ করার নিয়ম হচ্ছে এই, দুটি কাজের মধ্যে
তৃতীয় কোনো কাজ আসলে ঐ কাজটিও জোর পূর্বক হলেও করে নাও। তাহলে কাজটি হয়ে যাবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সময়ের গুরুত্ব দেওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।।
আরও পড়ুন:
সময়ের হেফাজতে বুযুর্গদের ঘটনা
পড়া মুখস্থ করার সর্বোত্তম সময় ও স্থান
কিয়ামতের আলামতঃ দ্রুত সময় পার হওয়া