মুসলিমবিডি২৪ ডটকম
২০বছরের ছোট ভাই, নিজের বড় ভাইকে চেম্বারে নিয়ে এসেছেন। অনেকবছর ধরে প্রবাসী বড় ভাই সমস্যায় আছেন।
দেশে বহু ডাক্তার দেখিয়েছেন, ইন্ডিয়ায় গেছেন।কিন্তু কোনো কাজ হয়নি, স্ত্রী আছে-এক ছেলে আছে৷
এতবছর ধৈর্য্য ধরার পর স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গেছে, আর আসবেনা বলে লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়েছেন।।
ঔষধ খেয়ে হায়েয ও নেফাস বন্ধ করার বিধান
এখন দেখা যাক সমস্যাটা কি।সমস্যা হলো ইরেক্টাইল ডিসফাংশন, প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন।
তার চাইতেও বড় সমস্যা যেটা, তা হলো পেশেন্ট শুধুমাত্র ঔষধ খেয়ে সুস্থ হতে চায়৷ এটা একটা মানসিক সমস্যা।
এ পর্যন্ত ডাক্তার ঔষধ দেবার পাশাপাশি তাকে যেসব পরামর্শ দিয়েছিলো সেগুলোর একটাও উনি ফলো করেননি।
আপনাদের কাছে প্রশ্ন, ঔষধ থেকে টেকনিকগুলো জানা কি বেশি জরুরী নয়?? শুধু ঔষধ খেয়ে সুস্থ হতে চাওয়া কি বোকামি নয়??
সেক্সুয়াল ট্রিটমেন্ট করার আগে যদি মানসিক ট্রিটমেন্ট করতে হয় তবে সুস্থ হতে সারাজীবন লেগে যায়।
যৌন সমস্যার মুলে রয়েছে মুর্খতা ও নির্লজ্জতা
সেক্সুয়াল সমস্যাও একবারে সমাধান হয়না,দীর্ঘ সময় এবং প্রচেষ্টার পর সম্ভব হয়।
ভদ্রলোকের স্ত্রী এতদিন অপেক্ষা করেছেন, এখন সন্তান নিয়ে চলে গেছেন লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়ে। যেখানে অনেককিছু করণীয় ছিলো।
ভদ্রলোক সহজ সরল, না ঠিকমতো প্রয়োজনীয় খাবার খাবে,না নিজের যত্ন নিবে,স্ত্রীর যত্ন,ফরপ্লে,
শারীরিক ব্যায়াম কিছুই বোঝেন না মানতেও চান না। ওদিকে দীর্ঘ সময় চলে যাওয়ার কারণে স্ত্রীও আর সময় দিতে ইচ্ছুক নয়।
কিন্তু সমাধান ছিলো এখানে-ই
◾স্বামী স্ত্রী পরস্পর পাশে থেকে দীর্ঘ সময় নিয়ে সহবাস করা।
◾বার বার আসন পরিবর্তন করে সহবাস করা।
◾একেক আসনে ১মিনিট করে সময় দিলেও, দশটি আসনে কিন্তু দশ মিনিট সময় চলে যায়।
◾বেশি করে খেজুর বাদাম গরুর গোশত, ডিম, মিল্কশেক খেলে কোনো ঘাটতি থাকার কথাই নয়!!
◾ব্যায়াম করলে শরীরের স্টামিনা বাড়ে।
◾প্রাক্টিস করে সময় বাড়ানোর চেষ্টা করা উচিত ছিলো।
◾একদিন যদি ১মিনিটে বীর্যপাত হয় তবে দ্বিতীয়বারে ২মিনিট টার্গেট নেয়া উচিত।
◾একইদিনে দ্বিতীয়বার সহবাস করার ক্ষেত্রে, ২য় তম সহবাসের আগে দুটো ডিম সিদ্ধ, এক মুঠ বাদাম বা একগ্লাস মিল্ক শেক খাওয়া উচিত।
স্বামী স্ত্রীর যদি মনোমালিন্য হয় তার সমাধান কিভাবে করবেন
শতশত টেকনিক রেখে আপনি যদি ভাবেন দৌড়ে গিয়ে ঔষধ খেলেই এক নিমিষে সুস্থ হয়ে যাবেন তবে ভুল ভাবছেন!!
একজন ডাক্তারের পেসক্রিপশনের চেয়েও পরামর্শগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আল্লাহ তাআ'লা আমাদেরকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখুন।
পরামর্শ দাতাঃ DrSRKhan