(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
সন্তানের ব্যাপারে শরিয়তের বিধান হলো, যদি মাতা-পিতা দেখেন সন্তান ভুল পথে চলছে, তখন তাদের কর্তব্য
হলো, তারা তাকে বারণ করবে। তাকে ভুল পথ থেকে ফিরিয়ে আনবে। ফিরিয়ে আনতে যত ধরণের চেষ্টা
প্রয়োজন সব করবে। কারণ এটি তাদের উপর ওয়াজিব। যদি এরকম না করেন তাহলে তারা গোনাহগার হবেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন: তোমরা নিজেকে এবং পরিবার পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও। তাই এক্ষেত্রে
সর্ব শক্তি ব্যায় না করলে গোনাহগার ও শাস্তির যোগ্য হবে। এখন যদি কেউ তার পূর্ণ শক্তি ও কৌশল ব্যায় করার
পরও সন্তান তার কথা মানে না, তখন সে ব্যক্তি মহান আল্লাহ তাআলার নিকট শস্তিযোগ্য হবে না। হযরত নূহ আ.
তাঁর ছেলেকে দাওয়াত দিয়েছিলেন, বুঝিয়ে ছিলেন, কিন্ত তবুও সে ইমান আনেনি। তাই তার জন্য হযরত নূহ আ.
কে জবাব দিহিতা করতে হবে না।
ঠিক একইভাবে কোনো ব্যক্তির বন্ধু ভুল পথে চলছে, অন্যায় কাজে লিপ্ত রয়েছে। আর এ ব্যক্তি তার সাধ্যানুযায়ী
আন্তরিকতার সাথে ভালোবাসা দিয়ে তার বন্ধুকে বুঝাতে থাকে। বুঝাতে বুঝাতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে; তবুও সে বন্ধু
ভুল পথ থেকে ফিরে আসে না। তাহলে এর দায়-দায়িত্ব বন্ধুর কাঁধে বর্তাবে না।
আরও পড়ুন:-
মাতা পিতার অবাধ্যতা
পিতার খেদমত করার আশ্চর্য পরিনাম
পিতা মাতার সেবা করা উচ্চস্তরের ইবাদত
পিতা-মাতার হক ১৪টি