(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
জন্মনিয়ন্ত্রণের হুকুম
প্রশ্নঃ শরীয়তের দৃষ্টিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ বৈধ কিনা
উত্তরঃ জন্মনিয়ন্ত্রণ বলতে বর্তমান সমাজে যা বোঝায়, তা সম্পূর্ণই ইসলাম বিরোধী এবং আল্লাহ তাআলার নাফরমানী।
কেননা, এর উদ্দেশ্য ও উৎপত্তি মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতিপালন নীতির পরিপন্থী।
আল্লাহর দুশমন মেলথাস ও তার থিওরিতে বিশ্বাসী লোকদের যে ধ্যান-ধারণা থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্ম হয়েছে,
তা ইসলামী আকীদা-বিশ্বাস ও ধ্যান-ধারণার সাথে সাংঘর্ষিক।
অতএব জন্মনিয়ন্ত্রণ যা খাদ্য সংকট বা অভাব-অনটনের ভয়ে করা হয়ে থাকে তার যে কোনো পন্থাই অবলম্বন করা হারাম এবং কবিরা গুনাহ।
তবে নিছক ব্যক্তিগত পর্যায়ে অবস্থা বিশেষে যেমন স্ত্রীর স্বাস্থ্য যদি নেহায়েত দুর্বল হয় এবং গর্ভধারণে বিরাট ক্ষতির আশঙ্কা থাকে তাহলে ওযর থাকা পর্যন্ত সাময়িকভাবে গর্ভ রোধ করা জায়েয।
তবে এমন পদ্ধতি গ্রহণ করা, যার ফলে বেপর্দার সাথে অন্যের সাহায্য নিতে হয়, তা নাজায়েজ।
যদি স্ত্রী স্বাস্থ্যগত দুর্বলতার কারণে গর্ভ ধারণে অক্ষম হয় এবং গর্ভধারণে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে এবং স্থায়ীভাবে গর্ভ রোধ ব্যতীত আর কোন উপায় না থাকে,
সে ক্ষেত্রে দ্বীনদার বিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তারের পরামর্শে অপারেশনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে গর্ভ রোধ করা জায়েজ হবে।
অবশ্য এ ব্যাপারে অমুসলিম ডাক্তারের রায় শরীয়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়।
উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত অবস্থা বিশেষে শরীয়তের দেয়া অবকাশকে হাতিয়ার বানিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল ঢালাওভাবে জন্মনিয়ন্ত্রনকে জায়েজ করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে,
যা শরিয়তকে বিকৃত করার নামান্তর। তাদের অপপ্রচার থেকে মুসলমানদেরকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
আল্লাহ তাআলা ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে মুসলমানদের রক্ষা করুন। আমিন।
আরো পড়ুন 👇👇
ঔষধ খেয়ে হায়েয ও নেফাস বন্ধ করার বিধান, একাধিক বিবাহের প্রয়োজনীয়তা